সৌদিতে ২০১৭ সালে উসুল নামে একটি ‘নারী ক্ষমতায়ন কর্মসূচি’ চালু করেছিলো উবার। ২০২১ সালের মধ্যে এর আওতায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি নারী গাড়ি চালিয়ে প্রায় ২ কোটি উবার ট্রিপ সম্পন্ন করেছিলেন।
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সৌদি আরবের নারী চালকদের নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে উবার। এই প্রতিবেদনে দেশটির নারীর ক্ষমতায়নের চলমান যে উর্ধ্বমুখী ধারা তা দৃশ্যমান।
প্রতিষ্ঠানটির জরিপে অংশ নেওয়া ৭৬ শতাংশেরও বেশি নারী উবার চালানোর কারণ হিসেবে আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টিকে উল্লেখ করেছেন। মূলত সৌদি আরব ও মিশর—এই দুই দেশের নারী চালকদের নিয়ে জরিপটি পরিচালিত হয়েছিল।
জরিপে অংশ নেওয়া নারীদের মধ্যে ৫৬ শতাংশ জানিয়েছেন, উবার চালিয়ে তাঁরা তাঁদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—উত্তরদাতাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ নারীই দাবি করেছেন, তাঁরা উবার চালাতে কোনো সমস্যায় পড়ছেন না বরং যথেষ্ট নিরাপদ বোধ করছেন।
আরেকটি বিষয় হলো-সৌদি আরবে যেসব নারী উবার চালক রয়েছেন তাঁদের জন্য একটি বিশেষায়িত ফিচার রয়েছে। এই ফিচার ব্যবহার করে ইচ্ছা করলে তাঁরা শুধু নারী যাত্রীদের কল রিসিভ করতে পারেন।
নারী চালকদের অর্ধেকেরও বেশি জানিয়েছেন, উবার চালিয়েই তাঁরা তাঁদের ক্যারিয়ারকে সামনে এগিয়ে নিতে চান।
এ বিষয়ে বুধবার আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সৌদি রাজতন্ত্র উবার নারী চালকদের জন্য আর্থিক সুযোগ, নমনীয়তা এবং উন্নত নিরাপত্তা দেয়ার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে সৌদি আরবে নারী শ্রমের অংশগ্রহণ ৩৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post