তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগ জানান তিনি।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বৈঠকের পর এরদোগান বলেন, ‘তুর্কি জাতি হিসেবে সম্ভাব্য সব শক্তিশালী উপায়ে আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছি। আমরা অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, পবিত্র স্থান বিশেষ করে আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে যে কোনো সংঘর্ষকে আমরা বরদাস্ত করতে পারি না।
এরদোয়ান বলেন, এই অঞ্চলে ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির একমাত্র উপায় হলো ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে সমর্থন করা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘর্ষের ফলে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।
এদিকে বুধবার (২৬ জুলাই) মাহমুদ আব্বাস ও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। তবে বৈঠকের বিস্তারিত জানা যায়নি।
এর আগে মঙ্গলবার তুরস্কে সফরে যান ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। একইদিন রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট ভবনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
এদিকে ইসরাইলেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৮ জুলাই তুরস্ক সফর করবেন।
দীর্ঘ ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর তুরস্ক সফর নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বিশেষ করে ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে এ খবর, তবে নেতানিয়াহুর সফরকে বেশ ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে দুই নেতা তুরস্ক-ইসরাইল সম্পর্ক এবং ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post