ঝালকাঠিতে একটি যাত্রীবাহী বাস পুকুরে পড়ে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আরও প্রায় ২৩ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠি সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে ৩ শিশু, ৮ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ।
নিহতদের ১২ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—ভাণ্ডারিয়ার সুমাইয়া (৬), তারেক (৪৫), ছালাম মো. (৬০), শাহিন মো. (২৫), রহিমা বেগম (৬০) ও আবুল কালাম, চর বোয়ালিয়ার আব্দুল্লাহ (৮), মেহেন্দিগঞ্জের রিপা মনি (২) ও আয়বিন আহমেদ (২২) এবং রাজাপুরের নয়ন (১৬), খুশবু (১৯) ও খাদিজা বেগম (৫৫)।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, ভান্ডারিয়া থেকে বাসটি প্রায় ৫০ জনের মত যাত্রী নিয়ে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল।
৭ বছর বয়সী ছেলে মাহাদিকে চিকিৎসক দেখাতে এই বাসে করে বরিশালে নিয়ে যাচ্ছিলেন ভাণ্ডারিয়ার ওষুধ ব্যবসায়ী তারেক (৩২)। ওই দুর্ঘটনায় মাহাদি প্রাণে বাঁচলেও প্রাণ হারান তারেক।
তারেকের ভাই আব্দুল খালেক বলেন, ‘কিছুদিন আগে মাহাদির হাত ভেঙে যাওয়ার পর তাকে বরিশালে চিকিৎসা করানো হয়। অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে দ্বিতীয়বার সে বরিশালে যাচ্ছিল। যাত্রা শুরুর সময় সে খুবই প্রাণবন্ত ছিল। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় আজ সব শেষ হয়ে গেল।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post