মসজিদে দান করা একটি কাঁঠালকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৩ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। দান করা ওই কাঠালের নিলাম নিয়ে প্রথমে দুই ব্যক্তির মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এরই জেরে দুই পক্ষের মধ্যে পরবর্তীতে সংঘর্ষ হয়।
এতে তিনজন নিহত আর আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত তিনব্যক্তি হলেন হাসনাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪০), বাবুল মিয়া (৫০) ও শাহজাহান (৫০)। আহত ব্যক্তিদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর খবরের সত্যতা সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। পুলিশ সব বিষয় খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর এক ব্যক্তির দান করা একটি কাঁঠাল নিলামে বিক্রি করা হয়। একজন ওই কাঁঠাল ২৫০ টাকায় কিনে নিলে আরেকজন এসে তার দাম এক হাজার টাকা দেবেন বলেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে বয়োজ্যেষ্ঠ মুসল্লিরা ওই ব্যক্তিদের শান্ত করে বিদায় করে দেন।
এরপরও এ নিয়ে গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও মালদার মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কোনো বিবাদে না জড়ানোর জন্য দুই পক্ষকে অনুরোধ করেন।
আজ সকালে জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরেজমিনে দুই পক্ষকে শান্ত থাকার ব্যাপারে অনুরোধ করে আসেন। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলামের পক্ষে অংশ নেওয়া নজরুল ইসলাম ও বাবুল মিয়া মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মালদার আলীর পক্ষের শাহজাহান মিয়া।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূর হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি কাঁঠাল বিক্রির মতো তুচ্ছ ঘটনা নিয়েই এত বড় ঘটনা ঘটেছে। তিনটি প্রাণ ঝরে গেছে। দুই দিন ধরে দুই পক্ষকেই বোঝানো হয়েছে। সালিসের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছিল। সকালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল বাছিত গিয়ে তাঁদের অনুরোধ করে আসেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post