সুইডেনে পবিত্র মহাগ্রন্থ কুরআন পোড়ানোর ঘটনা যিনি ঘটিয়েছেন তিনি মূলত সুইডেনে অভিবাসী হিসেবে আশ্রয় নেয়া ইরাকি নাগরিক। পবিত্র কুরআনে আগুন লাগানোর মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য তাকে ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাগদাদ সরকার।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হোসেন সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোবিয়াস বিলস্ট্রমের সঙ্গে টেলিফোন আলাপের সময় এই আহ্বান জানান।
ইরাকের প্রচলিত আইনে যাতে এই অপরাধীর বিচার করা যায় সেজন্য তাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। ফুয়াদ হোসেন সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, কুরআন পোড়ানো কোনো বাক-স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না বরং এর মাধ্যমে সহিংসতা ও ইসলামভীতিকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
ফুয়াদ আরো বলেন, পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো এই ঘৃণ্য কাজের মধ্যদিয়ে প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে। ইরাকি ওই নাগরিককে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাগদাদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য সুইডেন সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান ফুয়াদ হোসেন।
ইরাকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমদ আল-সাহাফ বলেছেন, স্টকহোমের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে যে ব্যক্তি কুরআন পুড়িয়েছে সে ইরাকি নাগরিক, ইরাকের আইন অনুসারে যাতে তার বিচার করা যায় সেজন্যই আমরা তাকে ফেরত চাইছি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post