গাড়িতে উঠলে গাড়ি যেদিকে যায়, গাড়ির সাথে এর যাত্রীরাও অভিন্ন অভিমূখে যেতে থাকে, এমনটি না হলে আমরা গন্তব্যে যেতে পারতাম না। চলার সময়ে গাড়ির যে গতিশক্তি তার কিছুটা গাড়ির যাত্রীর মধ্যেও সক্রিয় হয়। এজন্যই আমরা গাড়ির সাথে সাথে যাই।
গাড়ি আর যাত্রীর গতিশক্তির হেরফের হলে যাত্রীর স্থিরতায় এর প্রভাব পড়ে। তাই গাড়ির গতির তারতম্যে আমরা দুলতে থাকি। গাড়ির গতি বেড়ে গেলে আমরা কেমন পেছনে ছিটকে পড়ি আবার হটাৎ ব্রেক কষলে আমরা সামনের দিকে পড়ে যাই।
যাত্রী গাড়ি থেকে নামলে সেই গতিশক্তি তাকে গাড়ির অভিমূখে চালিত করে। অতএব যাত্রী যদি চলন্ত গাড়ি থেকে নামতে যায় তাহলে স্থিতিশক্তি কার্য করার আগেই গতিশক্তি তাকে গতির দিকে ঠেলবে, সুতরাং ভারসাম্য হারিয়ে সে আছাড় খাবে, আর যদি উল্টো দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তো বড় দূর্ঘটনাই ঘটবে কারণ সে গাড়ি বা তার গতিবেগ’র উল্টো দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
যাত্রী যদি নামার সময় বাসের গতিবেগ’র দিকে কিছুটা দৌড়াতে থাক তাহলে গতিশক্তি ধীরে ধীরে স্থিতিশক্তিতে পরিণত হবে এবং নিরাপদে নামতে পারবে। গাড়ি হঠাৎ জোড়ে ব্রেক কষলে গাড়ির গতিশক্তি স্থিতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়, কিন্তু যাত্রীর গতিশক্তি থেকে যায় ফলে সে সামনের দিকে ঝুকে পড়ে, গাড়ির গতিবেগ’র উল্টোদিকে মুখ করে বসলে যাত্রী তার পিছন দিকে হেলে পড়ে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post