শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’। ভারতের আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। ভারতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূল হয়ে ক্রমশ উত্তরদিকে এগিয়ে পাকিস্তানে চলে যাবে ‘বিপর্যয়’। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপকতা বেশ তীব্র হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেটি সামাল দিতে প্রস্তুত প্রশাসন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে তার। ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ে’র প্রভাবে মুম্বাইয়ে ফুঁসছে সমুদ্র। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জুহুর সমুদ্রসৈকতে স্নানে নেমে তলিয়ে যায় ছ’জন। তাদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তবে বাকি দু’জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
গুজরাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত প্রশাসন। সোমবারই একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন তিনি। গুজরাট, মুম্বাইসহ পাকিস্তানের উপকূল এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপদসঙ্কুল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু করেছে ভারত সরকার। গুজরাট ছাড়াও কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও লাক্ষাদ্বীপের জেলেদের সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর।
অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারও সিন্ধ ও বালুচিস্তান প্রশাসনকে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি করতে বলেছে। করাচির সিভিউ রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকা থেকে ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের প্রশাসন। সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ গত সোমবার (১২ জুন) অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে ঝুঁকিতে থাকা ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমি অনুরোধ নয়, তাদের সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেবো। এরই মধ্যে অঞ্চলটিতে সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী। শাহ বান্দার এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে দুই হাজার মানুষকে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল নাগাদ দেশটির দক্ষিণ উপকূলে ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে ‘বিপর্যয়’। বাতাসের গতিবেগ পৌঁছাতে পারে ঘণ্টায় দেড়শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তীব্র ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টির কবলে পড়বে সিন্ধু প্রদেশ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে করাচিতে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post