সারা দেশে চলমান লোডশেডিং নিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। একই সঙ্গে মঙ্গলবার (৬ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে।
লাইভে মমতাজ বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ আমরা সাময়িক একটা কষ্টের মধ্যে পড়েছি, সেটা হলো— বিদ্যুৎ। এ বিদ্যুৎ নিয়ে যেমন কষ্ট আছে, তেমনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে নানা ধরনের কথা, আলোচনা-সমালোচনা ও প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। যেহেতু আমি এমপি, আমার এলাকায় কী কী কাজ করেছি, কী কাজ করা বাকি আছে, সেগুলো বলার একটি জায়গা হলো সংসদ। সংসদে আমি অনেক বক্তব্য দেই। আর সেই কথা ধরে অনেকেই এটার সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। কারণ বিদ্যুৎ থাকছে না, বিদ্যুতের কষ্টটা সবাই পাচ্ছি, সেটা কম-বেশি। সবার ঘরেই আজকে এ সমস্যা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা সাময়িক সমস্যা। আপনারা জানেন, বিশ্বের কী অবস্থা। কিছুদিন আগে করোনা মহামারি গেল। তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের অনেক ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। বড় বড় দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ তো ছোট্ট একটা দেশ। সেখানে সরকার চেষ্টা করছে, আমরাও চেষ্টা করছি। তারপরও আমাদের এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আমি বলব— সেটা যেন আমরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি।’
সরকার চেষ্টা করছে সাময়িক এ সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতে যেন বিদ্যুতের একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে যায় বলে জানান সংসদ সদস্য মমতাজ। নিজের নির্বাচনী এলাকা নিয়ে মমতাজ বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় আগে ৩০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ ছিল। আমি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের সময় শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি।’ ‘একসময় এলাকায় গেলে গ্রামের মা-বোনেরা এসে বলতেন: আপা, কিছু চাই না। আমাদের মিটার দেন। মিটারের অভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। এই সংকট আমরা সমাধান করেছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। মানুষ তখন খুশি হয়েছিল। সে জন্য সংসদে বলেছিলাম, মানুষ বিদ্যুৎ চাইত। একসময় এ চাওয়ার ব্যাপারটা আর থাকবে না। সরকার যেভাবে বিদ্যুতের লাইন দিচ্ছে, উৎপাদন করছে, ঘরে ঘরে মিটার পৌঁছে দিচ্ছে। এখন কিন্তু সত্যিকার অর্থে গ্রামে গেলে কেউ বলে না: আপা, মিটার দেন। মিটার দেয়ার জায়গা আসলেও খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এটাই বাস্তবতা।’ ‘এই কথাগুলো যখন সংসদে আমি বলেছিলাম, সেই কথার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে, ভুলভাবে উপস্থাপন করেন অনেকেই। অসাধু কিছু লোকজন খামোখাই দুটো বাজে কথা ফেসবুক-ইউটিউবে বলার চেষ্টা করছেন,’ যোগ করেন তিনি। মমতাজ বেগম বলেন, ‘ফেসবুকে ঢুকে দেখি, হঠাৎ একজন বলছেন বিদ্যুতের জন্য মমতাজের বাড়ি ঘেরাও করা হয়েছে। এই যে প্রপাগান্ডা, মিথ্যাচার। এটা নিয়ে আপনাদের বিবেক কি একটুও নাড়া দেয় না? একজন মানুষের বিরুদ্ধে শুধু শুধু এভাবে মিথ্যাচার কেন করছি? মিথ্যাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেবেন না। ধৈর্য ধরুন, আমাদের সঙ্গে থাকুন।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post