স্বামী বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে পরকীয়া সর্ম্পকে জড়িয়েছেন স্ত্রী। প্রবাসী স্বামীর বন্ধু প্রেমিকের হাত ধরে বাবার বাড়ি থেকে পালাতক স্ত্রী। ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও ইরাক প্রবাসী সফিউলের স্ত্রীর খোঁজ এখনো মেলেনি। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেরার ছাপরহাটি ইউনিয়নের দক্ষিন মরুয়াদহ গ্রামে। প্রবাসী সফিউল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুল হামিদ আলীর পুত্র।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, ইরাক প্রবাসীর ঘনিষ্ট বন্ধু ওই গ্রামে মৃত. ফরলার রহমানের পুত্র আঙ্গুর মিয়া। সফিউল ইসলাম বিদেশে যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কারণে আঙ্গুর মিয়া তার বাড়িতে আশা যাওয়া করতো। আর আশা যাওয়ার এক পর্যায় প্রবাসীর স্ত্রী তাহমিনা বেগমের সঙ্গে আঙ্গুরের পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পরেন স্ত্রী। র্দীঘ ১ বছর থেকে পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক প্রবাসী জানতে পারলে স্ত্রীকে ফোনে বুঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামীর কোনো কথা কানে না নিয়ে বাবার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে আঙ্গুরের সঙ্গে পালিয়ে যায়।
সে সময় শশুর বাড়ির সহযোগিতায় তাহমিনাকে উদ্ধার করে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন স্ত্রী। আবারও শশুর বাড়িতে ঘুরতে যায় তাহমিনা। তাহমিনা উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জহরুলের মোড় গ্রামের ফরিজল মিয়া কন্যা। গত ২৬ মে রোজ বৃহস্পতিবার আবারও বাবার বাড়ি থেকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান তাহমিনা বেগম। বুধবার (৩১ মে) সকালে তাহমিনা পিতা ফরিজল হক ও সফিউলের পিতা আব্দুল হামিদ থানায় উপস্থিত হয়ে হারানোর অভিযোগ করেন।
ইরাক প্রবাসীর বাবা আব্দুর হামিদ বলেন, আমার পুত্র সফিউল ইসলামের সঙ্গে ১২ বছর পূর্বে তাহমিনার পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। তাদের সংসার জীবনে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। বিয়ের ৭ বছর পর জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে রেখে আমার ছেলে ইরাক চলে যায়। এরপর করোনা ভাইরাসের কারণে সে ৫ বছর হলো এখনো দেশে আসতে পারেনি। এই সুযোগে তাহমিনা বেগম আমার ছেলের বন্ধু আঙ্গুর মিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৬ রমজান তাহমিনা তার বাবা বাড়ি থেকে আঙ্গুরের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলো আমরা তাহমিনার বাবাকে সাথে নিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঘরে তুলে নিয়ে ছিলাম। ঈদের পর তাহমিনা ও তার মেয়েকে নিয়ে বাবা বাড়িতে বেড়াতে যায়। গত বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বাবার বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। পরে জানতে পারি সে তার প্রেমিক আঙ্গুরের হাত ধরে আবারও পালিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছি না।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে তাহমিনার বাবা ফরিজল হক জানান, এক বছর থেকে এই ঘটনা জানতে পরে আমার মেয়েকে অনেক বুঝিয়েছি এর আগেও একবার আমার বাড়ি থেকে ওই ছেলে সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলো আবারও আমার বাড়ি থেকে সেই ছেলের হাত ধরে পালিয়ে গেলো নিজের সন্তান ফেলে আমি এখন তাদের কি জবাব দিবো।
প্রবাসী সফিউল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, তার স্ত্রী তাগমিনা বেগম গত দুই বছর পূর্বে জমি কেনার কথা বলে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তার কাছ থেকে নিয়েছে। আমার সংসার জীবন ১২ বছরে কখনো ভাবিনি আমার স্ত্রী এমন কাজ করতে পারবে। তবে আঙ্গুর আমার ছোট বেলার বন্ধু হয়ে আমার এতো বড় ক্ষতি করবে আমি তা কখনো ভাবিনি। তারা আমার ও আমার সন্তানে জীবনটা নষ্ট করে দিলো।
আগুরের আগের স্ত্রী ফেনশি বেগম জানান, এবিষয়ে আমার সঙ্গে আমার স্বামীর অনেক ঝগড়া হয়েছে আমি বলতে গেলে আমার গায়ে হাত এবং মারপিট করেন। এখন আমি আমার দুই সন্তান নিয়ে কি করে খাবো। থানা অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post