বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের খাবারের বক্স থেকে মরা তেলাপোকা পাওয়ার দাবি করেছেন এক যাত্রী। এ বিষয়ে বিমানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য খাবার তৈরি করা প্রতিষ্ঠান বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার (বিএফসিসি)। বিমান ছাড়াও বিএফসিসি বর্তমানে ইজিপ্ট এয়ার ও জাজিরা এয়ারওয়েজের জন্য খাবার প্রস্তুত করছে।
বিমান সূত্র জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২৩ মে) ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসা বিমানের একটি ফ্লাইটে (বিজি-৩৮৯) এ ঘটনা ঘটে। ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে যাত্রীদের মিল বা খাবারের প্যাকেট দেন বিমানের ক্রুরা। খাবারের প্যাকেটে সাদা পোলাও ও মুরগির মাংসের কারি ছিল। খাবারের সময় ২৬-সি নম্বর সিটে থাকা যাত্রী খাবার বক্সে একটি তেলাপোকা পান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি ক্যাবিন ক্রুদের জানান। এবিষয়ে তাৎক্ষণিক দুঃখ প্রকাশ করে ক্রু ওই যাত্রীকে খাবারের একটি নতুন প্যাকেট দেন। একই ঘটনা লিখিতভাবে বিএফসিসিকেও জানান ফ্লাইটের ক্রুরা। পাশাপাশি যাত্রীও পৃথক একটি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএফসিসির মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকা ইকবাল আহমেদ আলী বলেন, বিএফসিসি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করে আসছে। বিমানের পাশাপাশি বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালন করা আরও ২টি এয়ারলাইন্সকেও খাবার দেওয়া হচ্ছে। কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খাবার যখন রান্না করা হয় তখন যদি তেলাপোকা যেত তাহলে সেটি তাপে গলে যেত। এটি রান্নার সময় হয়নি। আমরা যখন খাবারে তেজপাতা, কিচমিচের মতো উপকরণ ছিটাই তখনও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দেখে ছিটানো হয়। পরিবেশনের সময়ও দেখে দেখে বক্সে খাবার ঢুকানো হয়। তেলাপোকাটি কোন পর্যায়ে পড়েছে তা নিশ্চিত হতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির তদন্তের পাশাপাশি ফ্লাইটের খাবার তৈরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post