ই-পাসপোর্ট কীভাবে করবেন?
বর্তমান বিশ্বে পাসপোর্টের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হলো ই-পাসপোর্ট। এমআরপি পাসপোর্টের আধুনিক রূপ হলো এই পাসপোর্ট। ই-পাসপোর্টকে বায়োমেট্রিক পাসপোর্টও বলা হয়। এই পাসপোর্টে ছোট একটি চিপ সংযুক্ত থাকে, যা অনেকটা সিম কার্ডের মতো। আর এই চিপেই থাকে পাসপোর্টধারীর সব ধরনের তথ্য, যেমন- চোখের স্ক্যান, ১০ আঙুলের বায়োমেট্রিক ছাপ ইত্যাদি।
ই পাসপোর্ট করতে যেসব নথিপত্র লাগবে?
১. অনলাইনে আবেদনের সামারি
২. আবেদনের কপি
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
৪. ঠিকানার প্রমাণপত্র বা ইউটিলিটি বিলের কপি
৫. পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও আসল পাসপোর্ট
৬. বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
৭. পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকরির আইডি কার্ড ও
৮. নাগরিক সনদ বা চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
ই-পাসপোর্টের জন্য প্রথমে www.epassport.gov.bd/landing এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এরপর অ্যাপ্লাই অনলাইন মেন্যুতে ক্লিক করে, আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন করুন।
কীভাব অনলাইনে ই-পাসপোর্ট করবেন?
এরপর ই-মেইল ভেরিফিকেশন করে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ববর্তী পাসপোর্টের তথ্য, ঠিকানা, পিতা-মাতার তথ্য ও জরুরি যোগাযোগের ঠিকানা পূরণ করুন। সবশেষে পাসপোর্ট ও ডেলিভারির ধরন সিলেক্ট করে আবেদন সম্পন্ন করুন ও প্রিন্ট কপি নিন।আবেদনের সময় খেয়াল রাখতে হবে ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা ও পিতা-মাতার তথ্য সঠিক আছে কি না। আবেদন সাবমিট করার পর, ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করুন। সবশেষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনটি পাসপোর্ট অফিসে জমা দিন।
পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের আগে প্রথমে আপনার জেনে নিতে হবে আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সেবা প্রদান করছে কি না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post