ইরান বলেছে তারা আঞ্চলিক জলসীমা সুরক্ষিত করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম। বিশ্বজুড়ে আট মাসের সফরের পর দুটি ইরানি যুদ্ধজাহাজ ফিরে আসে। এ উপলক্ষ্যে রোববার দেশটির দক্ষিণ জলসীমার কাছে জাহাজ দুটিকে স্বাগত জানানো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইরানি কর্মকর্তারা। ওই অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করা হয়। খবর আলজাজিরার।
দুই দিন আগে শুক্রবার ইউএসএস পল হ্যামিল্টন যুদ্ধজাহাজে করে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক নৌবাহিনীর কমান্ডাররা হরমুজ প্রণালি সফর করেন; যা ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্য প্রদর্শন এবং জলপথে চলাচলকারী জাহাজের নিরাপত্তার তদারকি ছিল এর প্রধান কারণ। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের আঞ্চলিক জলসীমা থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে হরমুজ প্রণালিতে কী করছে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইরান পারস্য উপসাগর, হরমুজ প্রণালি এবং ওমান সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সহযোগিতা করতে সক্ষম। এ মাসের শুরুতে ওমান সফরে বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনাও করেছেন।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের বিদেশিদের প্রয়োজন নেই; যা আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড দ্বারা সুরক্ষিত।মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের তত্ত্বাবধান করেন ভাইস অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার। হরমুজ প্রণালি ভ্রমণের সময় তিনি বলেন, ইরান গত দুই বছরে আটটি জাহাজ জব্দ করেছে এবং আরও সাতটিতে আক্রমণ করেছে। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) ফাস্ট বোটগুলো পল হ্যামিল্টনকে এক কিলোমিটারের কম দূরত্ব থেকে পর্যবেক্ষণ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যরা তাদের নৌযানের ডেকে উন্মুক্ত মেশিনগানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অন্যদিকে পল হ্যামিল্টনের নাবিকেরা একইভাবে মেশিনগান নিয়ে সতর্কভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post