চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১১২ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যে অঙ্ক দাঁড়ায় ১২ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আর বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯০ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, মে মাসের ১৩ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৩৫ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর প্রথম ১২ দিনে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এছাড়া চলতি মাসের প্রথম পাঁচদিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর ৬ থেকে ১২ মে পর্যন্ত দেশে ৫৬ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। ২৯ থেকে ৩০ এপ্রিল প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১২ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আর এপ্রিলের ২২ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছিল ২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৩১ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর এপ্রিলের ১৪ দিনে দেশে এসেছিল ৯৫ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যার মধ্যে ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৮ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার।
এপ্রিলে প্রবাসীরা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ঢাকায়। রেমিট্যান্স এসেছে ৮০ কোটি ৪ লাখ ডলার। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। চট্টগ্রামে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪৬ কেটি ১৪ লাখ ডলার। আর সিলেট বিভাগে ২০ কোটি ১৭ লাখ ডলার, খুলনা বিভাগে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, রাজশাহী বিভাগে ৫ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, বরিশাল বিভাগে ৪ কোটি ১৪ লাখ ডলার, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ কোটি ৭ লাখ ডলার ও রংপুর বিভাগে ২ কোটি ৭১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের মার্চে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছরের জুলাইয়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর পরের মাসে কিছুটা কমে আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে এসে মাসের ব্যবধানে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ওই মাসে মোট প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরেক দফা কমে রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
পরে নভেম্বরে এসে আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের অঙ্ক। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর বিদায়ী বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post