ওমানের দুখুম এলাকায় ওয়েল্ডিং করার সময় ৩ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে নিহত দেলোয়ার হোসেন রিয়াদের (২৭) গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের বড় সন্তানকে হারিয়ে কিছুতেই বিলাপ থামছে না বৃদ্ধ বাবা-মায়ের।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আজিম খাঁ বাড়িতে রিয়াদের মরদেহ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। এরপর জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা যায়, ২ বছর আগে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ওমান পাড়ি দেন রিয়াদ। তিনি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আজিম খাঁ বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন তিনি।
৫ মে (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় তিন তলা থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন রিয়াদ। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কান্না জড়িত কণ্ঠে নিহত রিয়াদের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার ছেলে ২০২০ সালে ওমানে পাড়ি জমিয়েছিলো। সে আমার বড় ছেলে। বিয়েও করাতে পারিনি। এবার বাড়িতে এসে বিয়ে করার কথা ছিল। কিন্তু আমার বাবা লাশ হয়ে ফিরে এলো।
সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মিকন বলেন, ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য গিয়ে রিয়াদ আজ কফিনবন্দি হয়ে দেশে ফিরেছেন। এক নজর মরদেহ দেখার জন্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। বাড়ির পাশে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং তারপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার বিদায়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post