চাকরিচ্যুত বা অবসরের পর নতুন চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত যেকোনো দেশের নাগরিককে বেকারত্ব ভাতা প্রদান করবে দেশটির সরকার। অর্থনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে বেকারত্ব বীমা চালু করতে যাচ্ছে পারস্য উপসাগরীয় দেশটি। শুধুমাত্র বৈধভাবে বসবাসকারীরা এই সুবিধা পাবেন।
আমিরাতে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি নাগরিকদের নানা সমস্যার কথা চিন্তা করে ও সাধারণ শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমিরাত সরকার। চাকরিচ্যুত বা নানা কারণে অবসরে বসে থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের ‘অন ইমপ্লিমেন্ট ইনস্যুরেন্স’ এর আওতায় এনে বেকার ভাতা দেবে দেশটি। শুধুমাত্র বৈধভাবে বসবাসকারি নাগরিকরা এই সুযোগ পাবেন। দক্ষ কর্মী ও বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বেকারত্ব ভাতা প্রদানের ঘোষণার পাশাপাশি দেশটি ইনস্যুরেন্স বা বেকারত্ব বীমা করার নির্ধারিত সময়সীমাও বেধে দিয়েছে। বাধ্যতামূলকভাবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে দেশটিতে বসবাসকারী দেশি-বিদেশি নাগরিকদের এই ইনস্যুরেন্স করতে হবে। তা না হলে গুনতে হবে জরিমানা।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের জন্য সুখবর দিলো আমিরাত
প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই ইনস্যুরেন্সের আওতায় আসার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। বেকারত্ব বীমার আওতায় দুটি ভিন্ন বীমা স্কিম চালু করেছে দেশটি। যার মাধ্যমে কর্মীদের চাকরি চলে গেলে তিন মাস দেয়া হবে বেতন, সেই সঙ্গে কাজ খুঁজে নেয়ার সুযোগও।
যাদের বেতন ১৬ হাজার দিরহামের নিচে, তাদের পাশাপাশি বেসরকারি অথবা আধা সরকারি সেক্টর, ফ্রি জোন এবং আমিরাতের ফেডারেল সরকারের আওতায় কাজ করেন এমন কর্মচারীদের জন্য নতুন এই বীমা বাধ্যতামূলক।
দুটি বিভাগে প্রতি মাসে ৫ ও ১০ দিরহাম ব্যয় করে করতে হবে এই ইনস্যুরেন্সকারীদের। তবে ইনস্যুরেন্সের আওতায় কিছু শর্তও রাখা হয়েছে। কোনো কারণে শাস্তিমূলক বরখাস্ত করা হলে অথবা নিজে থেকে পদত্যাগ করলে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post