ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট অবতরণ করতে গিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে বাইরে চলে যায়।
গতকাল শনিবার ভোরে এ ঘটনার সময় বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এ ছাড়াও বিমানবন্দরটিতে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিমান উঠানামা। তবে এই দুর্ঘটনার বিষয়টি নোটবুকে উল্লেখ করেননি বিমানটির দুই ক্যাপ্টেন।
জানা গেছে, গতকাল ১৩ মে ভোর ৪টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট (বিজি-৩৮৭) কুয়ালালামপুর থেকে এসে শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের চেষ্টা করে। তবে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে অন্যদিকে চলে যায়। দুর্ঘটনার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
খবর পেয়ে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর দুটি পুশকার্ড দিয়ে বিমানটি ধাক্কা মেরে রানওয়েতে উঠিয়ে টার্মিনালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বিমানবন্দরে এক ঘণ্টা বিমান উঠানামা বন্ধ ছিল। অবতরণ করতে না পেরে ৬টি ফ্লাইট আকাশে চক্কর দিতে বাধ্য হয়।
বিমান দুর্ঘটনার এ সংবাদ প্রকাশ করে দেশ রূপান্তর অনলাইন। তাদের প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন ছিলেন ইসহাক ও হাসান ইমাম। বিমানটি অবতরণের সময় পাইলট কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করতে পারেননি।
বিমানটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে দুর্ঘটনার বিষয়টি নোটবুকে উল্লেখ করেননি পাইলট। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করা হবে।’ এ বিষয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘মালয়েশিয়া থেকে আসা একটি ফ্লাইটের সমস্যার কারণে এক ঘণ্ট বিমান উঠানামা বন্ধ ছিল। তবে দুর্ঘটনায় বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।’
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে অল্পের জন্য রক্ষা পায় আরেকটি বিমান দুর্ঘটনা। ভারতের কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ার বিমানবন্দরের দিকে রওনা দিয়েছিল ভিস্তেরা ফ্লাইট ইউকে৭৪৭। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য মাঝপথ থেকেই ফিরে যায় বিমানটি। স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা নাগাদ বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মূলত পোর্ট ব্লেয়ার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্ক রয়েছে। সে কারণে ওখানে আবহাওয়া ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তার জেরেই শনিবার বিমানটি আর পোর্ট ব্লেয়ারে নামার ঝুঁকি নেয়নি। সেটা একেবারে ইউ টার্ন নিয়ে ফের ফিরে যায় কলকাতায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মোখার জেরে পোর্ট ব্লেয়ারের আবহাওয়ার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। সে কারণেই আর ওখানকার বিমানবন্দরে নামেনি বিমানটি। সেটা ফের কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। মূলত খারাপ আবহাওয়ার জেরেই এই বিমানটি আর নামতে পারেনি আন্দামানে।
এদিকে মোখার আতঙ্কে বাংলাদেশের কক্সবাজার ছেড়েছেন বহু পর্যটক। বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। সে কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ১৭৫ কিলোমিটার গতিবেগে তছনছ করে দিতে পারে এই ঝড়। বহু মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post