চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল) রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৭৭১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে যার পরিমাণ এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৭৩০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) পরপর ২০০ কোটিরও বেশি ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এরপর টানা চার মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ নেতিবাচক ছিল। চলতি ২০২৩ সালের শুরুতে আবারও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে শুরু করে। গত মার্চ মাসে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। তবে বিদায়ী মাস এপ্রিলে প্রবাসী আয় কিছুটা কমেছে। এই মাসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৮ হাজার ১৩ কোটি টাকা।
বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বিশেষ করে হুন্ডি প্রতিরোধে কড়াকড়ি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে নেওয়া নানা উদ্যেগের সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠায় ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ডলার এবং ডিসেম্বরে ১২৩ কোটি ডলার। এরপরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ডলার এবং এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা।
এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post