কেনাকাটায় অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করে নতুন আইন জারী করেছে ওমান সরকার। গত বছরের ১৭ এপ্রিল দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাদ্যদ্রব্য, সোনা ও রৌপ্য, রেস্তোরাঁ, শাকসবজি ও ফলের দোকান, ইলেকট্রনিক, বিল্ডিং উপকরণ এবং তামাকজাত দ্রব্য বিক্রির পাশাপাশি শিল্প অঞ্চল, কমপ্লেক্সে বা মলে এ সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। আর তাই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলো এই আইন মানছে কিনা তা পরিক্ষা করতে গোটা ওমানজুড়ে অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য, শিল্প ও বিনিয়োগ প্রচার মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে ৭৮টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট পরিষেবা পায়নি মন্ত্রণালয়। অভিযানের সময় বিভিন্ন প্রদেশে ভোক্তাদের ইলেকট্রনিক পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানের জন্য দোকান মালিকদের বেশ কিছু সচেতনতা ও পরিদর্শন প্রচারণা চালিয়েছে মন্ত্রণালয়।
জানাগেছে, ওমানকে আরো আধুনিক এবং ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষেই এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সরকার। এছাড়াও নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে, ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রমের সংগঠনকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি, গ্রাহক পরিষেবা ব্যবস্থাপনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, এবং প্রতিষ্ঠান অনেক ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে। যেমন চুরি, অভ্যন্তরীণ জালিয়াতি এবং ভুয়া ইনভয়েস কমাতে মূলত এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ওমানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট পরিষেবা প্রদানকারীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালে ডিভাইসের সংখ্যা ৬৩ হাজার থাকলেও ২০২২ সালে মোট ডিভাইসের সংখ্যা ৮৫ হাজারের বেশি পৌঁছেছে, যা ৩৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির আইন অনুযায়ী সকল দোকানে ইলেকট্রনিক পেমেন্ট পরিষেবা রাখা বাধ্যতামূলক। কোনো দোকানে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম না থাকলে ১০০ রিয়াল জরিমানার বিধান করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post