দেশে ধারাবাহিকভাবে কমছে প্রবাসী আয়। ঈদের মাসেও ধ্বস নেমেছে রেমিট্যান্সে। প্রবাসী আয় বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কেন কমছে রেমিট্যান্স এ নিয়ে চিন্তায় সংশ্লিষ্টরা।
ঈদের পর হঠাৎ করেই কমে গেছে কুয়েত থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ। এর পেছনে ডলার মূল্যের বৈষম্য ও হুন্ডির দৌরাত্ম্যকে দায়ী করছে কুয়েতের মানি এক্সচেঞ্জগুলো। এ অবস্থায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ধরে রাখতে প্রবাসীদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ ডলারের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে, তার মধ্যে কুয়েতও রয়েছে। বৈধ পথে টাকা পাঠাতে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই বেছে নেন বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ। তবে ঈদের পর হঠাৎ করেই কুয়েত থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমে গেছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
বর্তমানে প্রযুক্তির সহায়তায় কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দেশে টাকা পাঠানো সম্ভব। তবে প্রবাসীরা সামান্যতম লাভের আশায় অবৈধ হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে। এটা হচ্ছে শুধু ডলার রেট বৈষম্যের কারণে। মানি এক্সচেঞ্জগুলো জানায়, চলতি বছরের মার্চে এক দিনারের পরিবর্তে ৩৭০ টাকা পাঠাতে পারতেন প্রবাসীরা। তবে এখন মিলছে ৩৫০ টাকা। বাংলাদেশ থেকে অন্যদেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ১ ডলারের বিপরীতে ১১৪ টাকা দেয়া হলেও রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে ১০৭ টাকা দরে।
বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রায় ২৮ শতাংশ আসে রেমিট্যান্স থেকে। রেমিট্যান্সের এই প্রবাহ ধরে রাখতে প্রবাসীদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ ডলারের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর প্রবাসীদের অভিযোগ, দিনারের মূল্য বেশি পেতে ক্রমেই হুন্ডির দিকে ঝুঁকছেন তারা। ফলে বৈধ চ্যানেলে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো অর্থের সমপরিমাণ মূল্য বৈধ চ্যানেলে পেলে অবৈধভাবে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কমে যাবে বলে মত প্রবাসীদের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post