ওমানে কঠোর আইনের বেড়াজালে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে মাস্কাটের নর্থ হিলের জনপ্রিয় কাবাব স্ট্রীট। বিক্রেতাদের দাবি পথের খাবার বিক্রি করার জন্য লাইসেন্স প্রাপ্তি কঠিন হয়ে পড়েছে। মাস্কাট ডেইলির এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।
মাস্কাটের এই জায়গায় প্রতিদিন হাজারো ক্রেতা কাবাব খেতে ভিড় করেন। মজাদার এবং সুস্বাদু খাবারের কারণে এই জায়গা ভোজনরসিকদের কাছে অনেক জনপ্রিয় হলেও বর্তমানে ব্যবসা নিয়ে সংকটে আছেন বিক্রেতারা।
আবদুল্লাহ আল মাওয়ালি নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমি গত কয়েক বছর ধরে এখানে মিশকাক বিক্রি করছি। আমি দ্বিতীয় ফুড ট্রাক দিয়ে আমার ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চাই কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনুমতি স্থগিত করেছে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলটি দ্রুত বিকশিত হয়েছে, যার ফলে জনসংখ্যা এবং ট্র্যাফিক হঠাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর চাপ বেড়েছে। এই কারণেই আমরা নতুন উদ্যোগ শুরু করার জন্য লাইসেন্স পেতে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি।
আবদুল্লাহর শ্যালক খালিদ আল মাওয়ালি বলেন, কিছু লোক আছে যারা পারমিট ছাড়াই কাজ করে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে অনানুষ্ঠানিক চুক্তির উপর নির্ভর করে এখানে কাজ করে। আবদুল্লাহ আরও বলেন, অনেক রাস্তার বিক্রেতার জন্য বৈধভাবে কাজ করার লাইসেন্স পাওয়া তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অপরিহার্য।
অনুমতি ছাড়া, তাদের জরিমানা বা তাদের সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করার ঝুঁকি রয়েছে। সীমিত লাইসেন্স পাওয়ায় অনেক বিক্রেতা জীবিকা নির্বাহের সুযোগ হারানোর পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এছাড়াও বিক্রেতারা জায়গা বরাদ্দ নিয়ে সবচেয়ে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিছু বিক্রেতা দাবি করেছেন যে তাদের খাবারের ট্রাকগুলো আমরাত পর্যন্ত নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমনই এক বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন আমরাতে গিয়ে ফুড ট্রাক বসাতে আমার অনেক সময় লাগবে।
কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল আমার বাড়ি মাওয়ালার কাছাকাছি কোথাও আমাকে জায়গা বরাদ্দ করা। অনেক বিক্রেতার জন্য, বর্তমান পরিস্থিতি হতাশা এবং ক্রোধ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জীবিকা নির্বাহ হুমকির মধ্যে রয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post