মহামারি করোনাভাইরাসে প্রতিনিয়ত আক্রান্তের সঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যে এই মহামারীতে বিশ্বজুড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি। করোনা ঠেকানোর সঠিক দিশা পাচ্ছে না কেউ। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পরও এই ভাইরাসের আসল রূপ দেখানো নাকি এখোনো বাকি! গতকাল সোমবার ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এমনটিই জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস।
ডব্লিউইচও’র প্রধান বলেন, করোনার আক্রমণের ‘ভয়াবহ পরিস্থিতি’ দেখা এখনো বাকি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার সঠিক পদক্ষেপ না নিলে আরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের শিকার হবে। ব্রিফিংয়ে সব দেশের সরকারকে সঠিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরু করতে হবে বলে জানান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই চলমান পরিস্থিতির অবসান হোক। আমরা চাই প্রতিটি জীবন বাঁচুক। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো, এ পরিস্থিতির অবসান হচ্ছে না। করোনা মোকাবিলায় অনেক দেশ কিছু কিছু উন্নতি করেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটি দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে।’
করোনায় প্রাণহানির দিক দিয়ে সবার ওপরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মারা গেছেন। ৫৭ হাজারের বেশি প্রাণহানির নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। তৃতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাজ্য। সেখানে ৪৩ হাজারের বেশি মারা গেছেন। প্রায় ৩৫ হাজার প্রাণহানি নিয়ে এরপরই আছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি।
আরও পড়ুনঃ ওমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর আইন
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিফিংয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান করোনা মোকাবিলায় সফল হিসেবে জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাম উল্লেখ করেন। বিভিন্ন দেশের সরকারকে এই দেশগুলোর নীতি অনুসরণ করার আহ্বানও জানান ডব্লিউইচও’র প্রধান। পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৪ লাখের অধিক। আর মারা গেছেন ৫ লাখ ৮ শতাধিকেরও বেশি মানুষ।
আরও দেখুনঃ ওমানের আউটপাশের ব্যাপারে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post