বিদেশ থেকে বিমানযাত্রীদের হাত ধরে সোনার বড় চালান আসছে দেশের মাটিতে। লোভে পরে অবৈধভাবে এই সোনা আনা চক্রে জড়িত অধিকাংশই প্রবাসী। দেশে অবৈধ পথে আনা এসব সোনা পাচার জ্যামিতিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রায়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সোনার বদলে বিদেশফেরত ব্যক্তিরা বৈদেশিক মুদ্রা আনলে তা দেশের ব্যাংকব্যবস্থায় যুক্ত করতো নতুন এক অর্থনৈতিক বিপ্লব। রাখত বর্তমান সংকট কাটাতে অগ্রহী এক ভূমিকা।
তথ্যানুসন্ধান বলছে, ২০২২ সালে দুই বিমানবন্দর দিয়ে অবৈধ পথে প্রায় ৫৪ টন সোনা এসেছে দেশের মাটিতে, যার বর্তমান বাজারমূল্য ৪৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
স্বর্ণ নীতিমালা (২০১৮) অনুযায়ী, দেশে বছরে নতুন সোনার চাহিদা ১৮ থেকে ৩৬ টন। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির এক সমীক্ষা বলছে, বছরে ১৮ থেকে প্রায় ২০ টন নতুন সোনার চাহিদা রয়েছে দেশে।
দেশে চাহিদা না থাকলেও কেন আনা হয় সোনা এটাই এখন বড় প্রশ্ন। ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী একজন যাত্রি বিদেশ থেকে আসার সময় ২৩৪ গ্রাম সোনার বার শুল্ক-কর পরিশোধ করে আনতে পারবেন।
আর এই বৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতি ভরিতে শুল্ক-কর দিতে হয় দুই হাজার টাকা। মূলত সরকারি শুল্ক না দিতেই পেটের মধ্যে, পায়ু পথে সহ নানা অবৈধ প্রক্রিয়ায় হয় সোনার চালান। আর এই সোনার বেশির ভাগ চালানই আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলো থেকে।
এদিকে, আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গে শুল্কহারে সামঞ্জস্যতা এনে যেমন সোনা পাচার ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post