অবৈধ হওয়ার কারণেই রোববার (৩০ এপ্রিল) রাতে সৌদি আরব থেকে ২৮৩ জন প্রবাসী কর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি সরকার। সৌদির দৃষ্টিতে অবৈধ অধিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১ মে) সকালে টেলিফোনে প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এর জন্য কর্মীরা দায়ী নয়। দায়ী হচ্ছে যারা শ্রমিকদের পাঠিয়েছিল সেসব রিক্রুটিং এজেন্সি। এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ ফেরত আসা কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবৈধ হয়ে পড়ায় এক কাপড়ে ফিরে আসা এসব কর্মীকে তাৎক্ষণিক সহায়তা করার জন্য করোনা মহামারির সময় বিভিন্ন সহযোগিতার সুযোগ থাকলেও, বর্তমানে বিমানবন্দরে সরকারি এমন কোনো উদ্যোগ নেই, যোগ করেন সচিব।
তবে ভুক্তভোগী প্রবাসী কর্মীরা যদি অভিযোগ করেন এবং কোন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে তারা সৌদি আরব গিয়েছিলেন, সে তথ্য দিতে পারলে অভিযুক্ত এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ড. সালেহীন।
এর আগে, রোববার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে সাউদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আড়াই শতাধিক সৌদিপ্রবাসী দেশে ফিরেছেন। ছয় থেকে দশ মাস আগে এরা বৈধ কাগজপত্র নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।
রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিশ্রুতি মাফিক ভিসা ও কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাধ্য হয়ে বাইরে কাজ করতে যান। এ সময় তাদের কাছে সৌদি যাওয়ার বৈধ কাগজ, ভিসা, আকামা থাকলেও সৌদি পুলিশ কোনো কথা না শুনে তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। সেখানে এক রুমে কয়েকশ শ্রমিককে গাদাগাদি করে রাখা হয়।
দীর্ঘদিন এ কষ্ট ভোগ করার পর তাদের খালি হাতে এক কাপড়ে রোববার রাতে দেশে ফেরত পাঠায় সৌদি সরকার। এ সময় তারা সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি বলেও জানান।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বিদেশ পাঠানোর জন্য গড়ে প্রতিটি শ্রমিকের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ করে টাকা নিয়েছে। এভাবে প্রায় সোয়াশ কোটি টাকা নিলেও বৈধ হতে পারেননি এসব এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়া কোনো শ্রমিক; পাননি প্রতিশ্রুত কাজও। ফলে শ্রমিকদের কেউ কেউ ভিসা, আকামা নিয়ে দীর্ঘদিন থাকার পরও তাদের জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেয় সৌদি সরকার।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post