বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম ‘নীল গহ্বরের’ সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। মেক্সিকোর ইউকাটান উপদ্বীপে সমুদ্রোপকূলের কাছেই এই বিশাল গহ্বরের সন্ধান মিলেছে। সমুদ্রের নিচে এই বিশাল গহ্বরটির আয়তন এক লাখ ৪৭ হাজার বর্গফুট। লাইভসায়েন্স-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গহ্বরটির সন্ধান মিলেছে চেতুমাল উপসাগরের বুকে।
এই বিশাল ‘সিঙ্কহোল’টির খোঁজ মিলেছিল ২০২১ সালেই। তবে সম্প্রতি এ গহ্বরটিকে নিয়ে মেরিন সায়েন্সে সবিস্তারে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সমুদ্রের বুকে এ বিশাল গহ্বরের সৃষ্টি হলো কিভাবে? ডিসকভারি ডট কমের প্রতিবেদন বলছে, এই এলাকায় চুনাপাথরের ভাগ বেশি।
সমুদ্রের নিচেও চুনাপাথর রয়েছে। পানির সংস্পর্শে এসে ওই পাথর ক্ষয়ের কারণে ধীরে ধীরে বিশাল গহ্বরের চেহারা নিয়েছে। এই গহ্বরের পানি গাঢ় নীল এবং কালচে। মূলত এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে পানির রং খুবই গাঢ়। আকাশ থেকে এ গহ্বরটি দেখলে একটি সাধারণ জলাভূমি বলে ভ্রম হতে পারে।
এই বিশাল গহ্বরটিকে স্থানীয় ভাষায় ‘তাম জা’ বলা হয়। যার অর্থ হলো ‘গভীর পানি’। এই গহ্বরে কোনো অক্সিজেন নেই। তাছাড়া পানির রং এতটাই গাঢ় যে সূর্যের আলো পানি ভেদ করে গহ্বরের গভীরে পৌঁছতে পারে না। অক্সিজেনবিহীন এই গহ্বরের নিচে কোনো প্রাণ রয়েছে কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
দক্ষিণ চীন সাগরে এমনই একটি বিশাল ‘নীল গহ্বর’ রয়েছে। যেটির গভীরতা ৯৮০ ফুট। যে গহ্বরটির নাম ‘ড্রাগন হোল’।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post