গত ১৬ এপ্রিল রাতে ফরিদা সারোয়ারকে মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লার হাজী শামসুদ্দিন স্কুলের পাশে রহিমা বেগমের বাসায় ডেকে নিয়ে যান।
বাসায় যাওয়ার পর ফরিদা তাকে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে লাচ্ছি ও কেক খেতে দেন। খাওয়ার পরই ঘুমিয়ে পড়েন সারোয়ার। এক পর্যায়ে ঘুমন্ত অবস্থায় সারোয়ারের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন।
পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যান ফরিদা ও রহিমা। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন সারোয়ারের বাবা মো. বাবুল প্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোসা. ফরিদা ইয়াসমিনসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ইয়াউর রহমানের নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সারোয়ারের সাবেক স্ত্রী মোসা. ফরিদা ইয়াসমিন ও সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার বাসিন্দা আমেনা ওরফে রহিমা বেগম।
এদিকে, সারোয়ার দুবাই প্রবাসী ছিলেন বিদেশ থাকাকালে ফরিদার সঙ্গে তার মোবাইল প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মোবাইলেই তারা বিয়ে করেন।
তবে কিছুদিন পরে সারোয়ার দেশে ফিরে জানতে পারেন ফরিদার আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল। ওই ঘরে দুটি সন্তান আছে। এসব তথ্য জানার পর সারোয়ার ফরিদাকে তালাক দেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, বিশেষ অঙ্গ কাটার ঘটনায় সারোয়ারের সাবেক স্ত্রীসহ দুজনকেই গ্রেফতার করেছি। দুপুরে তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post