ভিজিট ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাত যেয়ে ভিক্ষা করার অভিযোগে গোটা পরিবারকে আটক করেছে দুবাই পুলিশ। ভিক্ষা করার অপরাধে এ পরিবারটি ছাড়া আরও কয়েকশ ভিক্ষুককে আটক করা হয়েছে।
খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দুবাইয়ে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়ে যায়। আর এ সময়টায় তাদের ধরতে ধরপাকড় চালায় পুলিশ।
দুবাই পুলিশ জানিয়েছে, ভিজিট ভিসায় এখানে ভিক্ষা করতে এসেছিলেন দুই ভাই, তাদের স্ত্রী এবং এক শিশু। তাদের একটি মসজিদের কাছে ভিক্ষা করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয়।
ওই পরিবারটি নিজেদের বিকলাঙ্গ পরিচয় দিয়ে ভিক্ষা করছিল। জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের পরিচালক মেজর জেনারেল জামাল সালেম আল জাল্লাফ জানিয়েছেন, ওই পরিবারটি মানুষকে বোকা বানিয়ে অর্থ সহায়তা নিচ্ছিল।
ফলে তাদের তাৎক্ষণিক আটক করা হয়। সালেম আরও জানিয়েছেন, রমজানের প্রথম ১৫ দিনে ১১৬ ভিক্ষুককে আটক করা হয়। যার মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ এবং ৫৭ জন নারী। তাদের ভিক্ষার অর্থসহ আটক করা হয়।
সাধারণ মানুষদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ যেন ভিক্ষুকদের ডাকে সাড়া না দেন। কারণ এসব ভিক্ষুক একটি চক্রের সদস্য। তারা রমজানের সময় ভিজিট ভিসায় এসে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভিক্ষা করেন। এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিক্ষাবৃত্তি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রমজান মাস আসার আগেই দেশটির পুলিশ ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে সতর্কতা দিয়েছিল।
আমিরাতের আইন অনুযায়ী, ভিক্ষা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কেউ এ অপরাধ করলে তাকে তিন মাসের জেল অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার দিরহাম জরিমানা করার বিধান রয়েছে। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় দেড় লাখ টাকার সমান।
পাবলিক প্রসিকিউশন আরও সতর্কতা দিয়ে বলেছে, যদি স্বাস্থ্যবান কেউ জীবন চালানোর উপায় থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করেন, আহত বা প্রতিবন্ধী সেজে করুণা পাওয়ার চেষ্টা করেন অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষকে সহায়তা করার নাম করে সাহায্য তোলার সময় ধরা পড়েন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সত্যিকারের ভিক্ষুকদের যে শাস্তি দেওয়া হয় তার চেয়েও কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post