বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মরণোত্তর দেহদানের মাধ্যমে নিজের শরীরকেও মানুষের কল্যাণে বিলিয়ে দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন জাফরুল্লাহ। গতকাল রাত সোয়া ১১টায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত পাঁচ দশক ধরেই কোনো না কোনোভাবে আলোচনায় ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। নানাভাবে তিনি যে আলোচনায় ছিলেন তার মধ্যে একটি বড় অংশে ছিল -গরীবের ডাক্তার বলে পরিচয়।
ডা. জাফরুল্লাহ ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাও। ইংল্যান্ডে থাকার সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রকাশ্যে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলে বিশেষ অনুমোদন নিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টার হামলার শিকার হয়েছিল তাতে জাফরুল্লাহও ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আগরতলার মেলাঘরে তার গড়ে তোলা বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতালের ধারাবাহিকতাতেই স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সাভারে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
তবে দুই সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এইচ এম এরশাদের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে তিনি আলোচিত-সমালোচিতও হয়েছিলেন।
জাফরুল্লাহর মৃত্যুতে শোক বার্তায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক বলেছেন, ডা. জাফরুল্লাহ মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে মেডিকেল টিমের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post