ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান সবচেয়ে আরামদায়ক ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। তাই শুধু এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেই শুধু নয়, অভ্যন্তরীণ ভ্রমণেও আকাশপথেই যাতায়াত করেন অনেকে। কারণ, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে এর বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া থেকে ঘুম, সবকিছুরই প্রয়োজন হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে বিমানে মলমূত্র ত্যাগের প্রয়োজন হয়। আর এজন্য রয়েছে টয়লেটের ব্যবস্থা। কিন্তু এই বর্জ্য কোথায় যায়, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই উঁকি দিয়ে থাকে।
অনেকে ধারণা, বিমান থেকে বর্জ্য পদার্থ নিচে ফেলে দেওয়া হয় এবং নিচে পড়ার সময় তা হাওয়ায় মিশে যায়। তাই নিচে থাকা মানুষের উপরে তা পড়ে না। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। চলুন জেনে নিই বিমানে যাত্রীদের মলমূত্র কোথায় গিয়ে পড়ে। সাধারণ টয়লেটের তুলনায় বিমানের টয়লেট আলাদা হয়। এখানে সাধারণ ফ্ল্যাশ নয়, ব্যবহার করা হয় ভ্যাকুয়াম সিস্টেম। ফ্লাশ করার সঙ্গে সঙ্গে সব বর্জ্য ভ্যাকুয়াম পাইপের মুখ দিয়ে বিমানের একটি ট্যাঙ্কে সংগ্রহ করে রাখা হয়। এই ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০০ লিটার। বর্তমানে প্রায় সব বিমানেই ভ্যাকুয়াম টয়লেট আছে।
ফ্লাইটটি যাত্রা শেষে বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখানে একটি বিশেষ ধরনের শৌচাগারের ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া হয় বিমানের কাছে। এরপর বিমানের ট্যাঙ্কের সঙ্গে ওই ট্যাঙ্ক যুক্ত করে দেওয়া হয়। তারপর বিমানের টয়লেট ট্যাঙ্কের সমস্ত বর্জ্য পদার্থ শৌচাগার ট্যাঙ্কগুলোতে চলে যায়। আর এভাবেই বিমানের টয়লেট বর্জ্য নিষ্কাশন করা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post