ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে বিদেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশিরা। কারও ভাগ্যের চাকা ঘোরে আবার কারও চাকা ঘোরার আগেই লাশ হয়ে দেশে ফিরতে হয়। তেমনি একজন কুয়েত প্রবাসী মেজবাহ উদ্দিন।
২২ বছর আগে জীবিকার তাগিদে কুয়েত পাড়ি জমান। কাজ করেন বিভিন্ন জায়গায়। টাকা কামিয়েছেন ঠিকই কিন্তু হাসিমুখে দেশে ফেরার আগেই জীবনের প্রদীপ নিভে যায়।
গত ১৯ মার্চ কুয়েতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মেজবাহ। তার লাশ মর্গে পড়ে থাকলেও কেউ জানতো না তিনি মারা গেছেন। পরিবার বহু খোঁজাখুঁজি করে ১৫ দিন পর দূতাবাসের মাধ্যমে জানতে পারে তিনি আর বেঁচে নেই।
কয়েকদিন তার পরিবারের ওপর দিয়ে যে অনেক মানসিক চাপ গেছে সেটা বুঝতে আর বাকি নেই। একটা মানুষ এভাবে উধাও হয়ে যাওয়া নিশ্চয়ই কারও কাম্য নয়।
প্রবাস এত নিষ্ঠুর। যে মানুষটা তার কোম্পানির জন্য এত শ্রম দিয়েছেন সেই কোম্পানিও তার মৃত্যুর খবরটা পরিবারকে দেয়নি। হয়তো ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সেজন্য।
ওল্টো কোম্পানির এক কর্মচারীর কাছে নিহতের ব্যাপারে জানার জন্য তার পরিবার ফোন দিলে তাদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
নিহত মেজবাহ উদ্দিনের মামাতো ভাই রিসাত বলেন, মেজবাহ ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি কিন্তু কোথাও খোঁজ মেলেনি। একেক জন একেক রকম তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে তার পরিবার কান্নাকাটি করতে করতে শেষ। এতদিন একজন ব্যক্তি নিখোঁজ অথচ কেউ কিছুই জানে না। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার ছিল না। অবশেষে মেজবাহ ভাইর খবর পেয়েছি ঠিকই কিন্তু শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, মেজবাহ উদ্দিনের তথ্য ৩ তারিখ কুয়েতের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আমাদের জানানো হয়। আমরা জানতে পারি তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার লাশ সোবাহান মেডিকেলের হিমঘরে রাখা আছে। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ দেশে পাঠানো হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post