ওমানে দীর্ঘদিন দর্জি দোকান বন্ধ থাকার পর গত বুধবার (২৪-জুন) থেকে পুনরায় খুলে দেওয়া হয় পুরুষ ও মহিলা টেইলার্স শপ ও কারখানা। তবে টেইলারিং শপ ও কারখানাগুলিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নিম্নের নির্দেশনা গুলো যথাযথ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
১, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।
২, শ্রমিকদের সংখ্যা কমিয়ে সর্বনিম্ন শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হবে এবং তাদের এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা যাবেনা।
৩, দোকানে আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে (সঠিক বায়ুচলাচল নিশ্চিত করা)।
৪, কমপক্ষে ৭০% অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৫, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষিত নিরাপদ দূরত্ব (২মিটার) বজায় রেখে কাজ করা।
৬, প্রতিদিন শ্রমিক এবং কাস্টমারদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করতে হবে এবং যাদের তাপমাত্রা ৩৭ অফসাইটের উপরে রয়েছে তাদের আলাদা রাখতে হবে।
৭, বার বার সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে।
৮, সমস্ত কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম পরতে বাধ্য করুতে হবে।
৯, মাস্ক পরিধান ব্যতীত কাউকে দোকানে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবেনা।
১০, সম্ভব হলে গ্রাহকদের বিস্তারিত যোগাযোগের তথ্য রাখতে হবে, যেখানে তার আইডি, ফোন নম্বর এবং আবাসস্থল উল্লেখ থাকবে। যাতে করে কর্তৃপক্ষ দ্রুত রোগের নজরদারি এবং ট্র্যাকিং করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ওমান থেকে দেশে ফেরার নিবন্ধন শুরু করেছে দূতাবাস
১১, ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সুপ্রিম কমিটির সকল নির্দেশনা যথাযথ মেনে চলতে হবে।
১২, কোনো অসুস্থ ব্যক্তি/অথবা করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের দোকানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া যাবেনা।
১৩, গ্রাহকদের কোনো ধরনের খাবার পরিবেশন করা যাবেনা।
১৪, ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৫, শুধুমাত্র একজন গ্রাহক দোকানে প্রবেশের অনুমতি পাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post