হতভম্ব জাকির মোল্লা। তাকিয়ে ছিলেন আগুনের দিকে। হঠাৎ হঠাৎ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করছিলেন। ভয়ঙ্কর আগুনে দোকান পুড়েছে তার। স্বপ্ন হয়েছে ছাই। প্রবাস থেকে দেশে ফিরে পাইকারি দোকান দিয়েছেন। মাত্র দেড় মাস হয়েছে মহানগর কমপ্লেক্সের নিচ তলায় ছিল তার দোকান। বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। সবটুকুই বিনিয়োগ করেছেন দোকানে। আগুনে পুড়ে ছারখার হয়েছে সব।
জাকির বলেন, আগুনের খবর পেয়ে সাড়ে ৬টায় আসছি। এসে দেখি সব জ্বলছে। জীবনের মায়ার ভয়ে আর দোকানে ঢোকার সাহস পাই নাই। শেষে একটু ঢুকতে পারছিলাম। কিন্তু তাও কোনো মালামাল বের করতে পারি নাই।
জাকির ১৪ বছর সৌদি আরবে ছিলেন। দেশে এসে কাপড়ের ব্যবসা করে বাকি জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন। তাই ভাইদের থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। ব্যাংকের থেকেও নিয়েছেন ঋণ। মহানগর কমপ্লেক্সে নিচতলায় তার দোকানের নাম জেরিন জারিফা।
দোকানে মেয়েদের কাপড় উঠিয়েছিলেন। আশা ছিল এবারে ঈদের ব্যবসা ভালো হলে ঋণ শোধ করবেন। কিন্তু আগুনে পুড়ে সব ছাই হলো তার। জাকির বলেন, এখন আমি পুরো নিঃস্ব। ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি। পুরোটাই বিনিয়োগ করছি। অনেক আশা ভরসা নিয়ে ব্যবসা করতে নামছিলাম। আজ সব শেষ আমার। এই ক্ষতি কীভাবে কি করবো জানি না।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post