চরম আর্থিক সংকটে থাকা পাকিস্তানে গত মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩৭ শতাংশে, যা দেশটির ইতিহাসে গত ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। শনিবার পাকিস্তানের পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিবিএস) এই তথ্য প্রকাশ করে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্যা ডন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের শহরের চেয়ে গ্রামে মুদ্রাস্ফীতি বেশি বেড়েছে। শহর ও গ্রামীণ এলাকায় পণ্যের দাম যথাক্রমে ৩২.৯৭ শতাংশ এবং ৩৮.৮৮ শতাংশ বেড়ে গেছে। বিনিয়োগ সংস্থা আরিফ হাবিব করপোরেশনের তথ্যানুসারে, ১৯৬৫ সালের জুলাইয়ের পর মার্চ মাসের মূল্যস্ফীতির হার সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছিল ১২.৭২ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খাদ্য-পণ্যের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন গুণ।
গত বছরের জুন থেকে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল দেশটিতে। ফলে গত কয়েক মাস ধরেই দেশটির জনগণকে যে কোনো পণ্য কিনতে গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা। অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা করছেন, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ৫০ শতাংশ পার করতে পারে।
এদিকে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা নীতিগত সিদ্ধান্তের কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে গত শুক্রবার আভাস দিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post