মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদিআরবের সড়কে ঝরেছে ২০ টি তাজা প্রাণ। এর মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ১৩ জন। দুর্ঘটনায় নিহত এক যুবকের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। তার মৃত্যুর সংবাদের পর থেকে চলছে স্বজনদের আহাজারি। নিহত যুবকের নাম সবুজ হোসেন। তার বাবার নাম মো. হারুন। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে সবুজের মৃত্যুর বিষয়টি গ্রামের বাড়িতে জানাজানি হলে মা-বাবা ও স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সোনার হরিণের আশায় ৩ বছর আগে সৌদি যান লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসেন। এখনো শোধ হয়নি ঋণের টাকা। পরিবারের স্বপ্ন ছিলো দায়-দেনা মিটিয়ে দেশে আসলে মহা ধুম ধামে বিয়ে করাবে ছেলেকে। পাত্রীও পছন্দ করে রেখেছে পরিবার। তবে সেই স্বপ্ন আর পূর্ণতা পেলো না। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সৌদি আরবে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় থমকে যায় প্রবাসী সবুজের সব স্বপ্ন। মুহূর্তেই উলটপালট হয়ে যায় পরিবারের সকল আশা প্রত্যাশা।
বলছি সৌদী আরবের মক্কায় উমরাহ করতে যাওয়ার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত সবুজ হোসেনের কথা। বাড়ী লক্ষ্মীপুর জেলার, রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর ঢালী বাড়ি। তার বাবার নাম হারুন ঢালী। গেলো ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় সৌদী আরবের আবাহ এলাকায় মহায়েল রোডে বাস নিয়ন্ত্রন হারালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ উমরাহ হজ্ব পালনের উদ্যেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবারে সবুজের মৃত্যুর খরব শুনার পর থেকে বাড়ীতে চলছে শোকের মাতম।
নিহত সবুজের বাড়ী সূত্রে জানা গেছে, সে সৌদী আরবের আভার একটি কোম্পানীতে কাজ করতেন। দায় দেনা শোধ করে দেশে আসার কথা। সে উদ্দ্যেশে মক্কায় উমরাহ করতে যাওয়ার জন্য একটি বাসে উঠেন সবুজ। বাসটি আভার আসিম প্রদেশে আসলে একটি সেতুর সাথে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পড়ে সাথে সাথে আগুন লেগে যায় বাসটিতে।
এ ঘটনায় সবুজ সহ ১৩ বাংলাদেশী সহ ২০ জন উমরাহ যাত্রী মারা গেছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। আহতদের মাঝে ১০ জন বাংলাদেশী বলে জানিয়েছে দূতাবাস। শেষ বারের মত সবুজের মুখ দেখতে চায় তার পরিবার। আর তাই দ্রুত তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে দাবী জানান নিহতদের পরিবার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post