নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখেই দুবাইয়ে বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম আরাভের দোকানের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশি কয়েকজন তারকা সেই দোকান উদ্বোধনে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তারা সমালোচনার মুখে পড়েন। কারণ এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী একজন পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি। তবে আরাভের এই ব্যবসায় আর কারা জড়িত আছেন তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
দুবাইয়ের একটি সূত্র জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের সঙ্গে বাংলাদেশি দুইজন ব্যবসায়ীও জড়িত। তারা হলেন- ঢাকার দোহারের রাফসান জামি ও শাকিব হোসেন। এই দুইজন ছাড়াও আরও দুইজনকে আরাভ খান তার দোকানটির ব্যবসায়িক অংশীদার করেছেন। তারা হলেন- দোকানের তত্ত্বাবধায়ক উসমান গণি, দুবাইপ্রবাসী কুমিল্লার শাহেদ আহমেদ। তারা সবাই মিলে বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছেন আরাভকে। এ বিষয়ে রাফসান জামি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বড় অংশের মালিক আরাভ ভাই হলেও আমাদের চারজনকে ওয়ার্কিং পার্টনার করে টাকা নিয়েছেন। দোকানে আমাদেরও বিনিয়োগ রয়েছে। আমেরিকাসহ অন্যান্য শহরের দোকান শুধু ওনার (আরাভ) নিজের। এ দোকান আমাদের দিয়ে দেবেন।
কী পরিমাণ বিনিয়োগ আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাত মাস আগে দুবাই এসেছি। বাড়ি থেকে আমরা সবাই ব্যবসার কথা বলে অনেক টাকা এনেছি। দোকানে অন্য কারও বিনিয়োগ আছে কি না এ বিষয়ে আরাভ খান বলেছিলেন, ‘নিজের টাকাই তো রাখতে পারি না। অন্যের টাকা দিয়ে কী করব। এদিকে আরাভ খান কয়েকদিন আগে একের পর এক লাইভ ও স্ট্যাটাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকলেও ইন্টারপোলের রেড নোটিশের পর এখন আর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি তার সেই স্বর্ণের দোকানেও নেই কোনো স্বর্ণ। গতকাল মঙ্গলবার আরাভকে গ্রেপ্তার গুঞ্জন উঠলেও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানান, ‘পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দুবাইয়ে গ্রেপ্তার হননি। তবে তিনি পালিয়ে থাকতে পারবেন না।
আরাভের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারির পর থেকেই তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই বলছেন, আরাভ কয়েকদিনের মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে রেড অ্যালার্ট জারির পর সে আদৌ দুবাই ছাড়তে পারবে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রবাসীরা। এদিকে কেউ কেউ বলছেন, ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার পর তিনি ভারতে চলে গেছেন।
সম্প্রতি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্র তারকাদের আমন্ত্রণ জানান আরাভ খান। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে জানা যায় এই আরাভ খান ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয় ওরফে সোহাগ। মামলার পরপর তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়ে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট তৈরি করেন। এরপর দুবাইয়ে পাড়ি জমান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post