দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২২ হয়েছে। মালাউই, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কার কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালাউই। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, শনিবার জানিয়েছে, দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৮ জন। মালাউইয়ের রাষ্ট্রপতি, লাজারাস চাকভেরা গত বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
মালাউইতে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং ভারী বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। মোজাম্বিকের রাষ্ট্রপতি ফিলিপ ন্যুসির মতে, দেশটিতে কমপক্ষে ৬৭ জন মারা গেছে এবং ৫০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। মাদাগাস্কারে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। উভয় দেশে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফ্রেডি গত শনিবার এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে আঘাত হানে। এরপর গত সোমবার মোজাম্বিক ও মালাউইতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে সর্বশেষ ১০০ জনের মৃত্যুর খবর শোনা গেলেও বর্তমানে তা বেড়ে গেছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ গোলার্ধে রেকর্ড হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে ফ্রেডি অন্যতম।
ঝড়টি শনিবার মোজাম্বিকের মধ্যাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়ে বহু ভবনের ছাদ উড়িয়ে নেয় এবং এর প্রভাবে দেশটির ক্যালেমানা বন্দরের আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। এরপর এটি মালাউইর দিকে এগিয়ে গিয়ে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণ হয়, এতে সেখানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
দ্বিতীয়বার মোজাম্বিকে আঘাত হানার আগে এই ঘূর্ণিঝড়ে মাদাগাস্কার এবং মোজাম্বিকে প্রায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। অবিরাম বৃষ্টি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যার কারণে এই সপ্তাহে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। ঝড়ের কারণে মারাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছে। মৃতদেহ এবং ঘরবাড়ি মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছে এবং রাস্তা ঘরবাড়ি সব পানিতে ভেসে গেছে।
সূত্র: আলজাজিরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post