চলতি মাসের প্রথম ১০ দিনে ৬৮ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ৭ হাজার ৩০০ কোটি ৬১ লাখ টাকা (ডলার ১০৭ টাকা হিসাবে)। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৭৩০ কোটি ৬১ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে একথা জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চ মাসের প্রথম ১০ দিনে ৬৮ কোটি ২৩ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বা ৯৫৪ কোটি টাকা। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৭ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আর জানুয়ারিতে এসেছিল প্রায় ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত জুলাইয়ে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। এর পরের মাসে কিছুটা কমে, আসে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স কম আসে। ওই মাসে মোট প্রবাসী আয়ের হিসাব দাঁড়ায় ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অক্টোবরে আরেক দফা কমে রেমিট্যান্স আসে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।
পরে নভেম্বরে এসে আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে বৈধ চ্যানেলে পাঠানো প্রবাসীদের আয়ের অঙ্ক। এ মাসে মোট রেমিট্যান্স আসে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আর বিদায়ী বছরের শেষ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। নতুন বছরের প্রথম মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহে উত্থান দেখা দেয়, জানুয়ারিতে আসে ১৯৫ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। কিন্তু পরের মাসেই আবার কমে যায় রেমিট্যান্স।
রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরের মতো ধর্মীয় উৎসব থাকায় প্রবাসী আয়ের পালে সুবাতাসই বইবে। কাজেই সামনে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post