যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে প্রবাসী নৃত্যশিল্পী শাহনাজ রহমানকে (নারমিন)। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নিজ ঘরে নিউইয়র্কের সুপরিচিত নৃত্যশিল্পী নারমিনকে (৩৪) মৃত দেখতে পেয়ে তার ভাই প্রতিবেশীদের খবর দেন।
এসময় তাঁর মা কণ্ঠশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী ডা. নার্গিস রহমান বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে জরুরি কাজে ডা. নার্গিস বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালেই তিনি তার একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর পান। নারমিনের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। জ্যামাইকা পুলিশ নারমিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে।
কয়েক মাস ধরে নারমিন নানাবিধ রোগে ভুগছিলেন। ২০২২ সালে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। একটু সুস্থ হলেও পরবর্তীতে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
নারমিন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন। তবে অসুস্থতার পর নিয়মিত কাজে যেতে পারতেন না। অনেকের ধারণা, ঘুমের ঘরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
নারমিনের এক ভাই ক্যালিফোর্নিয়ায় চাকরি করছেন। অন্য ভাই এবং নারমিনকে নিয়ে মা ডা. নার্গিস নিউইয়র্কের জ্যামাইকায় থাকতেন। তার মা ও বাবা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। নারমিনের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নারমিনের মরদেহ বর্তমানে শবানুগমন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তার মা-বাবা আগামী মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রে ফিরলেই জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশে অবস্থানরত ডা. নার্গিস রহমানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।নারমিনদের মূল বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুরে। ডা. নার্গিস রহমান দীর্ঘদিন ধরে নিউইয়র্কের দিনাজপুর জেলা সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post