আমিরাতে ভিসা প্রসেসিং সহ নানা ধরনের ডকুমেন্টেশন কার্যক্রমে প্রবাসী বাংলাদেশীরা নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। আগে যেখানে এসব কর্মকাণ্ডগুলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মিশর, লেবানন, জর্ডান,সিরিয়ান,পাকিস্তান ভারতীয়দের উপর নির্ভরশীল ছিল এখন সেখানে বাংলাদেশিরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরবি ভাষার উপর দক্ষতা না থাকলে ডকুমেন্টেশন প্রসেসিং ব্যবসা অনেকটা কঠিন ছিল প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য। বাংলাদেশ থেকে যারা আরবি ভাষার উপর জ্ঞান অর্জন করে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন তারা অনেকেই এখন ডকুমেন্টেশন ব্যবসায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ফলে এখন অসংখ্য ব্যবসায়ী এই ব্যবসায় করে বিশাল অংকের রেমিটেন্স দেশে পাঠাচ্ছেন।
নাজমত আল জাইন টাইপিং সেন্টারের মালিক বলেন এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতি সহ লাইসেন্স, এমিরেটস আইডি, মিউনিসিপালিটি ডকুমেন্টস প্রসেস, ইমিগ্রেশন সার্ভিস, তাহসিল সহ সব ধরণের পিআরও সেবা দেয়া হয়। তিনি বলেন এক্ষেত্রে সেবা নিতে গিয়ে বাংলাদেশীরা পূর্বে না ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলেও প্রবাসীরা এ ব্যবসায় এগিয়ে আসায় এই প্রতিবন্ধকতা অনেকটা দূর হয়েছে।
স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের অভিমত, এধরনের ডকুমেন্টেশন কার্যক্রম চালানোর জন্য বিভিন্ন ভাষার পারদর্শিতা অত্যন্ত জরুরি। আরবি এবং ইংরেজি ভাষার দক্ষতা কম বলে এতদিন ধরে পিছিয়ে ছিল প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তবে ধীরে ধীরে এই ঘাটতি পূরণ হতে চলেছে এই অঞ্চলে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post