নানা অনিয়মে জর্জরিত বিমানের বিরুদ্ধে যাত্রীদের অভিযোগ নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে, এবার এমন এক অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে বিমানের ঢাকা-জেদ্দা রুটের বিজি ৩৩৬ ফ্লাইটটি ফিরছিল ঢাকায়। বিমানটি যখন ভারতের আকাশে, তখন হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করে বসেন জেদ্দা থেকে আসা কবীর আহমেদ নামে এক প্রবাসী। প্রয়োজন পড়ে কাছাকাছি কোন বিমানবন্দরে দ্রুত অবতরণের। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবে কে?
বিমানের পাইলট ঘুমাচ্ছেন বাঙ্কে। আর ককপিটে লাইসেন্সহীন বৈমানিক পরিদর্শক। এমন অবস্থায় জরুরি অবতরণের সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারায় অসুস্থ হয়ে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়। সত্যতা নিশ্চিতে বিমানকে তদন্ত দেয়া হয়েছে জানিয়ে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান জানান, অনিয়ম হলে নেয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
জানা যায়, চলন্ত বিমানে একজন পরিদর্শক থাকেন যিনি ককপিটের পেছনে থেকে সবকিছু দেখভাল করেন যাত্রীদের। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে ঘটে অন্যরকম। নিয়ম অনুযায়ী, জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত মূল পাইলটের দেয়া কথা। কিন্তু সে সময় পাইলট দিলদার আহমেদ তোফায়েল ছিলেন বাঙ্কে বিশ্রামে।
আর ককপিটে বসিয়ে গেছেন লাইসেন্সবিহীন পরিদর্শক ফরিদুজ্জামানকে। সাথে ছিলেন ট্রেইনি পাইলট ইরফানুল হক। যাত্রীর অসুস্থতায় জরুরি অবতরণের জন্য ট্রেইনি পাইলট বললেও পরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বিমান অবতরণ করেন শাহজালাল বিমানবন্দরে। এতে যা হবার হয়ে যায়। দেরিতে হাসপাতালে নেয়ায় মারা যান প্রবাসী কবির আহমেদ। সিভিল এভিয়েশন জানায়, লাইসেন্সবিহীন পরিদর্শক পেছনে থেকে সেবা দিতে পারলেও বসতে পারেন না ককপিটে। অনিয়মের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post