প্রতিটি পেশায় কিছু গোপনীয় বিষয় থাকে। সেই বিষয়গুলো শুধুমাত্র ওই পেশার সঙ্গে জড়িতরাই জানেন। সাধারণত সেই তথ্যগুলো প্রকাশ করা হয় না। বিমান পরিষেবাতেও এমন কিছু গোপন বিষয় আছে। শুধুমাত্র বিমানে কর্মরতরাই তা অবগত থাকেন। কিন্তু সেই তথ্য প্রকাশ্যে এলে বিমান কর্তৃপক্ষেরও তেমন অসুবিধা নেই। তবে এই গোপন তথ্যগুলো জানা থাকলে উপকৃত হতে পারেন গ্রাহক। চলুন জেনে নিই বিমান পরিষেবার ১০ গোপন তথ্য।
কোনো ফ্লাইটই ত্রুটিমুক্ত হয় নাপ্রচলিত আছে, বিমানের টিকিট যত আগে কিনিবেন তত কম দামে টিকিট পাবেন। কিন্তু আসলে তেমনটি নয়। আগে বুকিংয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত সস্তা টিকিটগুলোই বিক্রি করা হয়। সেগুলোর কিছু অসুবিধা আছে। যেমন— সিট পরিবর্তন, টাকা ফেরত দেওয়া ইত্যাদি করা যায় না। সাধারণত মঙ্গলবার, বুধবার ও শনিবার বিমানের টিকিটের দাম অন্যদিনের তুলনায় কম থাকে।
বিমান অবতরণের পর ও পরবর্তীতে উড়ানের আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। বিমানে কোনো ত্রুটি থাকলে তা মেরামতের পর যাত্রীদের বিমানে উঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি সম্পূর্ণ সত্যি নয়। বিমানের এমন অনেক ত্রুটি আছে যা উড়ানোর আগে ঠিক না করলেও সমস্যা নেই। তাই বাধ্যতামূলক ত্রুটিগুলো ঠিক করার পরেই বিমান উড়ানের অনুমতি দেওয়া হয়। অনাবশ্যক ত্রুটিগুলো পরে মেরামত করা হয়।
মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে বলা হয় কেন?আগুন লাগার ভয়েই বিমানে ধূমপান নিষেধ বলে মনে করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। বিমানে ধূমপানের অনুমতি আগে ছিল। কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিক কারণে ধূমপানের অনুমতি দেওয়া হয় না। কারণ, বিমানের ভিতরের বাতাস সবসময় ফিল্টার করা হয়। তাই বিমানে ধূমপান করতে ফিল্টারিং হতে সময় লাগে। ফলে বিমান সংস্থার খরচ বেড়ে যায়।
বিমানে মোবাইল ব্যবহার করলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিবে। প্রচলিত এই কথাটি ঠিক নয়। মূলত মোবাইলের রেডিও সিগন্যালের কারণে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা শুনতে পাইলটদের অসুবিধা হতে পারে। তাই মোবাইল বন্ধ রাখতে বলা হয়। তবে কয়েকটি বিমানে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই।
জরুরি অবতরণের জন্য এই হাতল রাখা হয়। জরুরি সময় ধাক্কাধাক্কির কারণে বিমানবালাদের যেন সমস্যা না হয় তাই এই হাতল রাখা হয়। আপনি জানলে আরো অবাক হবেন, বিমানের টয়লেটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করলেও সেটি বাহির থেকে খোলা যায়। দরজার বাইরে নো স্মোকিং সাইনের নীচে একটি লিভার থাকে। যাতে প্রেস করলেই ভিতর থেকে লকড্ দরজাও খুলে যাবে। এমন পদ্ধতির কারণ, টয়লেটের ভিতরে কেউ অজ্ঞান হয়ে গেলে, দরজা বাইরে থেকে যাতে খোলা যায়।
ক্যাপ্টেন ও কো-ক্যাপ্টেন একসঙ্গে খাবার খেতে পারবেন নাদুই ক্যাপ্টেন একসঙ্গে খাবার খেলে বিমান চালাবে কে? এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় বলেই মনে হয়। কিন্তু ক্যাপ্টেন ছাড়াও অটো মোডে একই গতিতে বিমান উড়তে পারে। কিন্তু তা নিরাপদ নয়। তাই দুইজন কখনোই একসাথে খেতে পারবেন না। একজন খাবার খেয়ে ফিরে আসার পরই অপরজন খাবার খান।
বিমানের জানালার পাশের সিটে হেলান দিয়ে আরাম করে বসা যায় না বলে মনে করেন অনেকেই। অনেক যাত্রীরা এই বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু সিটের নীচে ছোট্ট একটি বোতাম লুকানো থাকে। তা চাপ দিকেই হেলান দিয়ে বসতে পারবেন।
ভদ্র ব্যবহার করুনবিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বিমানবালারা জানান, যেসব যাত্রীদের ভদ্র ব্যবহার করেন তাদের প্রতি ‘আলাদা যত্ন’ নেওয়া হয়। অনেকসময় যাত্রীদের বিভিন্ন সারপ্রাইজও দেওয়া হয়। তাই বিমানযাত্রার সময় কোনো সমস্যা থাকলে তা ভদ্রভাবে জানান। বিমান কর্মরতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য টিকিট খুব কম দামে বিক্রি করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিনামূল্যে টিকিটের অফারও থাকে। এতে শুধুমাত্র কর দিতে হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post