সৌদি আরবের পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে বিশালাকৃতির চতুষ্কোণ ভবন নির্মাণ করতে যাচ্ছে। রাজধানী রিয়াদের কেন্দ্রে গড়ে তোলা হচ্ছে অপূর্ব নকশার এই ভবনটি। কিন্তু নকশার সঙ্গে পবিত্র কাবা শরিফের বেশ মিল থাকায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এটাকে ‘নতুন কাবা’ বলেও অভিহিত করছেন কেউ কেউ। আর তাই চরম বিতর্ক চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যার দিকে ফিরে বিশ্বের মুসলিমরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে সেই পবিত্র কাবার সাথে সাদৃশ্য থাকায় ‘দ্য মুকাব’ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ ঝেড়েছেন। অনেকেই আবার নকশা পরিবর্তনেরও দাবী জানিয়েছেন।
মূলত তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বের করে বহুমুখী অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্যে ভিশন ২০৩০ গ্রহণ করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সেই লক্ষ্যে বড় বড় সব প্রকল্প হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। যার একটি নিওম মেগাসিটি প্রকল্প যা লোহিত সাগরের তীরে মরুভূমির বুকে গড়ে তোলা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার রাজধানী রিয়াদকে নতুন করে গড়ে তোলার বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সৌদি।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘নিউ মুরাব্বা’ নামের ওই প্রকল্পের ঘোষণা দেন সৌদি যুবরাজ। এই কোম্পানির চেয়ারম্যান হবেন তিনি নিজেই। ঘোষণায় যুবরাজ বলেন, কোম্পানির প্রধান কাজ হবে, ‘রিয়াদে বিশ্বের বৃহত্তম আধুনিক শহর গড়ে তোলা’। কাবাঘর সাদৃশ্য এ প্রকল্পের মধ্যে একটি জাদুঘর, একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি থিয়েটার ও ৮০টিরও বেশি বিনোদন স্থান থাকবে।
‘দ্য মুকাব’র দৈর্ঘ্য হবে ৪০০ মিটার। প্রশস্ত ও উচ্চতাও ৪০০ মিটার। পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড একে ‘এক অন্যজগতের প্রবেশদ্বার’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘দ্য মুকাব’ হবে বিশ্বের প্রথম ত্রিমাত্রিক গন্তব্য। ২০টি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং ধরে রাখার মতো যথেষ্ট বড় হবে এটা।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সৌদি অর্থনীতিতে ১৮০ বিলিয়ন রিয়াল বা ৪৮ বিলিয়ন যোগ হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ৩ লাখ ৩৪ হাজার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এর বেশি প্রকল্পের ব্যাপারে আরও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post