ওমানের ঐতিহ্যবাহী হালুয়াকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির ফুড সেফটি অ্যান্ড কোয়ালিটি সেন্টার (এফএসকিউসি)। ইতিমধ্যেই এই হালুয়া নিয়ে গবেষণা করার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ড. হুসেইন বিন সামেহ আল-মাসরুরি।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে এই হালুয়ার মধ্যে আদর্শ উপকরণগুলো শনাক্ত করা এবং আন্তর্জাতিক মান, বিশেষ করে ইউরোপীয় মানগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করা। ওমানের “আল-শাবিবা” রেডিওকে দেওয়া তার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে আল-মাসরুরি বলেন, ওমানি হালুয়া, ওমানি মধু এবং অন্যান্য স্থানীয় পণ্যগুলোর মতো খাঁটি ওমানি পণ্যগুলোর জন্য ওমানের নিজস্ব স্পেসিফিকেশন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ওমানি হালুয়া ঐতিহ্যবাহী শিল্প এবং উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত কারুশিল্পগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই খাবার বাবা মায়েরা তাদের সন্তানের কাছে পাঠান এবং এর জন্য ওমান বিখ্যাত। এটি একশ বছরেরও বেশি আগে শুরু হয়েছিল এবং আজও অব্যাহত রয়েছে।
ওমানি হালুয়া তৈরিতে অনেক উপাদান ব্যবহার করা হয়, যেমন ওমানি গোলাপ জল, লাল চিনি এবং ওমানি স্টার্চ। এই উপাদানগুলো মিশিয়ে বিশেষভাবে তৈরি একটি তামার পাত্রে দুই বা তিন ঘন্টা ধরে আগুনের উপর অবিচ্ছিন্নভাবে নাড়তে হয়, তারপরে মিশ্রণটির উপর পরিষ্কার মাখন, এলাচ, জাফরান এবং বাদাম ঢেলে দেওয়া হয়। যা ওমান সহ বিশ্বের পর্যটকদের কাছে বেশ প্রসিদ্ধ একটি খাবার।
https://www.youtube.com/watch?v=CLkjCco1oa0&t=83s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post