দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের রয়েছে অনেক বড় ভূমিকা, কিন্তু এই প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারাই বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারের নানা সুযোগ সুবিধা থেকে। দেশে আসলে এয়ারপোর্টে হয়রানী তো আছেই, সেইসাথে প্রবাসের অনেক দূতাবাসের সেবার মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বেশকিছু দাবী উপস্থাপন করেছেন প্রবাসীরা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ১২টি দাবী নিম্নে তুলে ধরা হইলো:
১, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অবস্থা সরেজমিনে জানার জন্য এবং একটি বাস্তবধর্মী অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করার জন্য সরকারের পক্ষথেকে একটা তদন্ত কমিটি গঠন।
২, ওমানে জরুরী ভিত্তিতে একজন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর নিযুক্ত করা ও একটা কমার্শিয়াল উইংস সৃষ্টি করা।
৩, জরুরী ভিত্তিতে ওমানের দূতাবাস কে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা ও প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সিস্টেম এনালিস্ট নিয়োগ বা কোন নামীদামী আইটি কোম্পানি কে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সিস্টেম আপগ্রেড করার জন্য নিযুক্ত করা।
৪, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য কনস্যুলেট সার্ভিসের জন্য আউটসোর্সিং এর ব্যবস্থা বা দূতাবাসকে জনবল দিয়ে পুনর্বিন্যাস করা।
৫, দূতাবাসে একটি মিডিয়া উইংস অত্যাবশ্যক যা কেন্দ্রীয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে পরিচালনা করা এবং প্রবাসীদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার জন্য অনলাইন টিভির ব্যবস্থা করা।
৬, বিশাল প্রবাসের এই জনগোষ্ঠীর সমস্যা সরকারের কাছে তুলে ধরার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশ থেকে একজন জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বা নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগ দান।
৭, কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রবাসীদের জন্য খুব কম খরচে সাধারণ রোগীর টেলি-মেডিসিন সেবা দান চালু করা।
৮, দেশে অবস্থানরত সকল প্রবাসীদের পরিবারকে এই দুর্যোগ মুহূর্তে দুই মাসের ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা।
৯, সকল সরকারি কর্মচারী দুর্দশাগ্রস্ত এই প্রবাসীদের সাহায্যার্থে একদিনের বেতন প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টে মুক্ত হস্তে দান করা।
আরও পড়ুনঃ মাত্র এক টাকার ওষুধেই সুস্থ হচ্ছে করোনা রোগী!
১০, বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ও মিডিয়াতে প্রবাসের সমস্যা ও সমাধান তুলে ধরার জন্য সুনির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ এবং সরকারের তরফ থেকে জনসচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি ও স্থানীয় আইন কানুন ও বিভিন্ন বিষয়ে বুদ্ধি পরামর্শ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সমাজ সংগঠকদের /সমাজসেবী দের নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশের আয়োজন।
১১, মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল গুলোর জন্য আর্থিক অনুদান বা বরাদ্দ রাখা।
১২, লো কস্ট হাউজিং এর ব্যবস্থা ও খাস জমি (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে) প্রদান করা।
লেখকঃ জবলুল আনোয়ার বাদল, ওমান প্রবাসী কমিউনিটি নেতা
আরও দেখুনঃ প্রবাসীদের নিয়ে যা বললেন র্যাবের কমান্ডার ও মিশা সওদাগর
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post