তুরস্কে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচদিন। ঘণ্টার হিসাবে ১২৫’র বেশি। এখনো নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে চারিদিকে মৃত্যুমিছিল, শুধুই হাহাকার। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের জীবিত উদ্ধারের আশা প্রায় ফুরিয়েই এসেছে। অথচ এখনো জীবিত উদ্ধার হচ্ছে মানুষ। আর এই অলৌকিক ঘটনা যখনই ঘটছে, তখনই উদ্ধারকারী দলের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে কেঁপে উঠছে আশপাশ।
সর্বশেষ তুরস্কের হাতা শহরে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ২ মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) তাকে উদ্ধার করা হয়। ভূমিকম্পের পর প্রায় ১২৮ ঘণ্টা ধরে ধ্বংসস্তূপে ছিল শিশুটি। খবর এনডিটিভির।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃত মানুষের সংখ্যা ইতিমধ্যে ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। এর মধ্যে অলৌকিকভাবে জীবিত উদ্ধারের ঘটনাও ঘটছে। এমনই একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে গতকাল। ভূমিকম্পের প্রায় ১২৮ ঘণ্টা পর এদিন হাতায় শহরে ২ মাস বয়সী এক শিশু উদ্ধার হয়। এ সময় ধ্বংসস্তূপের আশপাশে থাকা মানুষেরা হাততালি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
তুর্কি সংবাদমাধ্যমের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর গতকাল শনিবার দুই মাসের শিশুটি ছাড়াও আরও কয়েকজন উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে আছে ২ বছর বয়সী এক শিশু, ৬ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ৭০ বছর বয়সী এক নারী।
এদিকে, এখনো আটকেপড়াদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ১ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী। যাদের মধ্যে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কর্মীরা রয়েছেন। ইতিমধ্যেই ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল থেকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষকে।
https://www.youtube.com/watch?v=CLkjCco1oa0&t=83s
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post