ভূমিকম্পের প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার হলো শিশু। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তুরস্কের সীমান্তবর্তী হেতে শহরের একটি ভবন থেকে শিশুটিকে বের করা হয়। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মোহাম্মদ আহমেদ নামের বাচ্চাটিকে জীবিত পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন উদ্ধারকারীরা। দীর্ঘ সময় চাপা পড়ে থাকার পরও মোটামুটি অক্ষত ছিল সিরিয় শরণার্থী শিশুটি। বের করে আনার আগে পানি খাওয়ানো হয় তাকে। বোতলের মুখে করে মোহাম্মদের মুখে পানি তুলে দেয়ার দৃশ্য ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনায় উদ্ধারকারীদের সাধুবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন ইস্তাম্বুলের মেয়র।
এদিকে, সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া মানুষদের উদ্ধারে সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। উদ্ধার সরঞ্জামের জন্য অপেক্ষা না করেই হাতের কাছে যে যা পাচ্ছেন, তা দিয়েই চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এরইমধ্যে দুর্যোগস্থলে পৌঁছেছে অন্তত ৬৫ দেশের তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবী এবং দক্ষ ফায়ার ব্রিগেড কর্মী। নিখোঁজদের সন্ধানে তাদের সাথে রয়েছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, জোরালো ভূমিকম্পে সাড়ে ১১ হাজারের মতো ঘরবাড়ি-স্থাপনা ভেঙে পড়েছে। যেগুলোর ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো। এদিকে, সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ। বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় মিলছে না ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব। তবুও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হোয়াইট হেলমেটস চালিয়ে যাচ্ছে তৎপরতা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post