ওমানে কাজ না থাকলেও বাংলাদেশ থেকে নতুন ভিসা নিয়ে দেশটিতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। যেই ওমানে এক বছরে শ্রমিক গিয়েছিল অর্ধলক্ষাধিক, সেই দেশটিতেই ২০২২ সালে গিয়েছে এর তিনগুণের বেশি। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি শ্রমিক পাড়ি জমিয়েছে সৌদি আরবে। অর্থাৎ এই দেশটিতে কর্মী গেছে ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ওমানের নাম। দেশটিতে ২০২২ সালের জানু থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মী গেছে এক লাখ ৭৯ হাজার ৬১২ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯ হাজার লোক গেছে ডিসেম্বরে মাসে। শুধু সৌদি আরব আর ওমান নয়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জর্দান, ইউএই, ইরাক, কুয়েত, কাতার, ইউরোপ আমেরিকাসহ প্রায় প্রতিটি দেশেই শ্রমিক যাওয়ার হার বেড়েছে।
এদিকে ওমানে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমানে দেশটিতে কাজের তীব্র সংকট চলছে। কাজ জানা পুরনো প্রবাসীরাই বর্তমানে কাজ পাচ্ছেনা, সেখানে নতুনদের অবস্থা আরো শোচনীয়। প্রতিদিন মাস্কাটের হামরিয়াতে কাজের জন্য রাস্তায় ভিড় করছেন অসংখ্য প্রবাসী।
জানাগেছে, বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাচ্ছে বলা হলেও আসলে হাতেগোনা ৩০টি দেশেই ঘুরেফিরে কর্মী যাচ্ছে। অভিবাসন বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরিবর্তে এখন নতুন শ্রম বাজার খুঁজতে হবে সরকারের। সেইসাথে নিরাপদ অভিবাসনের পাশাপাশি অভিবাসন খরচ কমিয়ে আনা এবং বিদেশে থাকা বাংলাদেশ মিশনগুলোকে আরো সক্রিয় করার পরামর্শ অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post