হাজার বছর পূর্বে মানুষ কেমন ছিলো, কেমন ছিলো তাদের জিবনাচার। এইসব নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের কমতে নেই। সম্প্রতি মিশরে প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের পুরনো মানুষের মমির সন্ধান মিলেছে। আর এতে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে গোটা বিশ্বব্যাপী। মিসরের প্রাচীন এক সমাধিক্ষেত্রের নাম সাক্কারা। যা কিনা দেশটির রাজধানী কায়রোর দক্ষিণে অবস্থিত। এখানে আছে এক ডজনেরও বেশি পিরামিড। সবশেষ মমিগুলো পাওয়া যাচ্ছে এ স্থান থেকেই।
ইতোমধ্যেই সমাধিক্ষেত্রের ৫০ ফুট খাদের নিচে মিলেছে চারটি কফিন। যার মধ্যে পাওয়া গিয়েছে স্বর্ণপাতায় মোড়ানো একটি মমি। জানা যায়, এই মমিটির দেহাবশেষ হেকাশেপেস নামে এক ব্যক্তির। শুনলে অবাক হবেন, হেকাশেপেসের কফিনটি খোলা হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ বছর পর। যার মানে এই মমিটি প্রথমবারের মতো পৃথিবীর আলোর ছোঁয়া এত বছর পর পেল।
চারটি কবরে পাওয়া মমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় মমিটি বলা হচ্ছে, খুনমজেদেফ নামে এক ব্যক্তির, যিনি একাধারে ছিলেন পুরোহিত, পরিদর্শক ও অভিজাতদের তত্ত্বাবধানকারী। মেরি নামের এক ঊর্ধ্বতন প্রাসাদ কর্মকর্তার মমিও পাওয়া গেছে, যাকে সিক্রেট কিপার খেতাব দেওয়া হয়েছিল, যা তাকে বিশেষ ধর্মীয় আচার পালনের অধিকার দিয়েছিল।
অন্য কবরে ফেতেক নামের এক বিচারক ও লেখক শুয়ে ছিলেন বলে অনুমান করা হচ্ছে, যেখানে বেশকিছু মূর্তিও পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় এখন পর্যন্ত এই মূর্তিগুলোর চেয়ে বড় মূর্তি মেলেনি বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসব কবরে মৃৎপাত্রসহ আরও জিনিসপত্রও পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এসবই খ্রিস্টপূর্ব দুই হাজার ৫ শ’র কাছাকাছি সময় থেকে ২ হাজার ২শ’ সালের মধ্যকার সময়কার।
খননকাজে জড়িত আরেক প্রত্নতত্ত্ববিদ আলি আবু দেশিশ বলেন, এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এটি রাজাদের সঙ্গে তাদের আশপাশে থাকা লোকদের সংযুক্ত করছে। তিন হাজারেরও বেশি বছর ধরে সমাধিক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া সাক্কারা ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় আছে। পর্যটন খাত পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা মিশরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তির খোঁজ মিলেছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post