ভারতের দুই রাজ্যে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ভেঙে পড়ল মোট তিনটি বিমান। একদিকে রাজস্থানে একটি চার্টার্ড বিমান ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে, মধ্য প্রদেশের মোরেনাতে সুখোই-৩০ ও মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। দুই জায়গাতেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে। এই তিনটি দুর্ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। খবর ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআইয়ের। এদিকে শনিবারই রাজস্থান সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এর আগেই এই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেল।
প্রাথমিক সূত্রে জানা গেছে, মধ্য প্রদেশে বিগত দুই দিন ধরে আকাশপথে মহড়া চলছিল বিমানবাহিনীর। এ দিন সকালে গোয়ালিয়র এয়ারবেস থেকে সুখই-৩০ ও মিরাজ ২০০০- এই দুটি যুদ্ধবিমান উড়ান শুরু করেছিল। আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণ পরই মোরেনার কাছে দুটি বিমান ভেঙে পড়ে। বিমানের পাইলটদের এখনও খোঁজ মেলেনি। তারা বেঁচে আছেন কি না, তাও এখনও জানা যায়নি। বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। বিমান দুটির ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ করা হচ্ছে। ব্ল্যাক্সবক্সের খোঁজ পাওয়া গেলেই দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে মহড়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেরিতে মহড়া শুরু হয়। সুখই বিমানটি সকালে সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রথমবার মহড়া দেয়। এরপরে বিমানটি অবতরণও করে। পরে ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ ফের উড়ান শুরু করে বিমান, এরপরই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সুখই বিমানে দুইজন পাইলট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ভেঙে পড়া আরেকটি বিমান মিরাজ-২০০০। এই বিমানটি প্রথমবার উড়ান শুরু করার পরই ভেঙে পড়ে। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানে একজন পাইলট ছিলেন। তারও খোঁজ মিলছে না। অপরদিকে, রাজস্থানের ভরতপুরেও একটি চার্টার্ড বিমান ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে কতজন যাত্রী ছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম বিমানটিকে ভেঙে পড়তে দেখেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post