নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়ে বাড়ির লোকজনকে ভিডিও কলে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বাঁচানোর আকুতি জানান। ভুক্তভোগী রুজিনা আক্তার (২৭) হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের সুন্দর আলীর মেয়ে।
পরিবারের লোকজন জানান, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে যান রুজিনা। তখন থেকেই দেশটির দাম্মাম শহরে একটি বাসায় কাজ করছিলেন তিনি। কিছুদিন ধরে বাসার মালিক তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। রুজিনা সম্প্রতি ভিডিও কলে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নাকাটি করে এসব জানিয়েছেন। তিনি দেশে ফিরতে চান। রুজিনা আক্তার জানান, তার সমস্ত শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
হাত ও পায়ে গরম পানি ঢেলে দেওয়া হয়। তাকে চুলে ধরে মারপিট করা হয়। ভিডিও কলে তিনি বলেন, ‘ও আম্মা, আমারে যে মাইর মারে গো আম্মা, আমারে চুলে ধইরা টানে গো আম্মা, আমি মইরা যাইমু গো আম্মা।’ এদিকে সম্প্রতি রুজিনার বাবা তার মেয়েকে ফিরে পেতে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post