সৌদি আরব প্রবাসী এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে দিনদুপুরে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর সোনাগাজীতে পৌর শহরের মহিলা মাদ্রাসা নুর টাওয়ার নামের একটি ভবনের পঞ্চম তলায় এ ঘটনায় ঘটে।
ওই বাড়িতে গিয়াস উদ্দিন নামে সৌদি আরব প্রবাসী এক ব্যক্তির পরিবার ভাড়া থাকে। গিয়াস উদ্দিন গত সপ্তাহে সৌদি আরব থেকে দেশে এসেছেন। এর আগে গত সোমবার দুপুরে একই কায়দায় পৌর শহরের কলেজ রোডের আবদুল কাইয়ুম ও সামিমা খাতুন নামে শিক্ষক দম্পতির বাড়ির তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ সাড়ে আট লাখ টাকার মালামাল লুট হয়। পরপর দুই দিন লুটতরাজের ঘটনায় স্থানীয় ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, গতকাল বেলা ১১টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ব্যাংকে যান। ব্যাংকের কাজ শেষে বিকেলে বাসায় ফিরে তাঁরা দেখেন, বাড়ির দরজার তালা খোলা। বাড়ির ভেতর ঢুকে দেখেন, আলমারির তালা ভেঙে দুর্বৃত্তরা মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে। গিয়াস উদ্দিনের দাবি, দুর্বৃত্তরা ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৩৬ হাজার টাকা, ৪টি মুঠোফোনসহ ৪ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে গতকাল রাতে গিয়াস উদ্দিন এ ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাইন উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীসহ পৌর শহর এলাকায় বেশির ভাগ বাড়ির বাসিন্দারা দিনের বেলায় কর্মস্থলে থাকেন। এ সময় বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দিনদুপুরে পৌর শহর এলাকার বিভিন্ন বাড়ির দরজা ভেঙে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটের ঘটনা ঘটছে। তবে এসব ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার না করায় বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়াসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post